অনেক নারীই মুখের লোম নিয়ে বেশ বিব্রতবোধ করেন। এজন্য যদিও অনেকেই লেজার করে থাকেন। তবে লোম দূর করার পদ্ধতিটি বেশ ব্যয়বহুল। ওয়াক্স, থ্রেডিংয়ের মাধ্যমেই বেশিরভাগ নারী ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভ করেন। যদিও এগুলো করতে অনেক ব্যথা সহ্য করতে হয়।
Advertisement
ব্যথা ছাড়া যদি আপনি দীর্ঘস্থায়ীভাবে মুখের লোম দূর করতে চান, তবে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর। তেমনই তিনটি উপাদানের কথা জানাবো, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই মুখের লোম দূর করতে পারবেন।
হলুদ গুঁড়া: যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দাগ দূর করতেও হলুদ কার্যকরী। হলুদ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। মুখের লোমগুলো যাতে না বাড়ে, এজন্যও হলুদে থাকা পুষ্টিগুণগুলো কাজ করে।
পদ্ধতি: প্রয়োজনমতো হলুদের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখের যেসব অংশে বেশি লোম সেখানে ব্যবহার করুন হলুদের পেস্ট। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহখানেক এ পদ্ধতি অনুসরণ করলেই দেখবেন মুখের লোমের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে।
Advertisement
বেসন: হলুদের মতোই প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে বেসন। উপাদানটি ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। সব ধরনের ফেসপ্যাকের সঙ্গেই বেসন মেশানো থাকে। জানেন কি? বেসন প্রাকৃতিকভাবেই মুখের লোম সহজে দূর করতে পারে। নিয়মিত মুখে বেসন ব্যবহারের ফলে ত্বক হয় মসৃণ ও কোমল।
পদ্ধতি: বেসন ও হলুদের গুঁড়া সামান্য পানি দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে ব্যবহার করে পুরোপুরি শুকিয়ে যেতে দিন। এরপর ভারী তোয়ালে চেপে না ধুয়েই ফেসপ্যাকটি মুখ থেকে উঠিয়ে নিন। দেখবেন মুখের লোমও উঠে আসছে। অবশ্যই আইভ্রু বা চুলে যেন প্যাক না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রয়োজনে কপালের শেষ সীমানায় ও আইভ্রুতে সামান্য ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন।
ডিম: চুল ও ত্বকের যত্নে ডিমের ব্যবহার অনেক হয়। ডিমে থাকা প্রোটিন ত্বক ও চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি: আধা টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার, এক টেবিল চামচ চিনির সঙ্গে একটি ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার মুখের লোমে ব্যবহার করুন। ত্বকের ওপর শুকিয়ে যাওয়া স্তরটি ধীরে ধীরে টেনে তুলুন। দেখবেন মুখের লোমও উঠে আসছে। এটি অনেক কার্যকরী এক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ঘরে বসেই ব্যথাহীনভাবে মুখের লোম তোলা যায়।
Advertisement
টাইমস অব ইন্ডিয়া/জেএমএস/এসইউ/এমএস