লিপস্টিক ঠোঁটের সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে দেয়। তবে জানেন কি? লিপস্টিক ব্যবহার করার যেমন সুফল আছে; তেমনই আছে কুফলও। যদি না বুঝে-শুনে, গুণগত বৈশিষ্ট্য না জেনে ব্যবহার করেন; তবে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। এজন্য লিপস্টিক ব্যবহারের খুঁটিনাটি জানা জরুরি।
Advertisement
>> ঠোঁটে বেশি গাঢ় রঙের লিপস্টিক লাগানোর পর একটি মোটা টিস্যু পেপার ঠোঁটের মাঝে রেখে একটু চেপে ধরুন। কিছুক্ষণ পরই দেখবেন গাঢ় ভাব আর নেই।
>> ওঠানোর পরেও যদি ঠোঁটে লিপস্টিকের গাঢ় রং থাকে; তবে তা মোছার জন্য হালকা গোলাপি বা পিচ রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
>> লিপগ্লস বা লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট লিপলাইনার দিয়ে আঁকিয়ে নিন। তাহলে দেখতেও সুন্দর দেখাবে, আবার দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে লিপস্টিকও থাকবে।
Advertisement
>> লিপস্টিক ব্যবহারের পর কখনোই রুমাল দিয়ে ঘষে মুছবেন না। এতে ঠোঁটের সূক্ষ্ম চামড়া ছিঁড়তে পারে। লিপস্টিকের রং খুব হালকা করতে চাইলে লিপস্টিকের উপর সামান্য ভেসলিন ব্যবহার করতে পারেন।
>> অনেকেই নিজের অজান্তেই ঠোঁটে থাকা লিপস্টিক খেয়ে ফেলেন। এ প্রসাধনীতে থাকা বিষাক্ত উপাদান চলে যায় পেটে। যার ফল হতে পারে মারত্মক। ক্যাডমিয়াম, অ্যালুমিনিয়ামসহ কয়েক ধরনের ধাতুর মিশ্রণে তৈরি হয় লিপস্টিক। যা শরীরের বিপাকক্রিয়া ও অম্লের সঙ্গে মিশে বিষাক্ত হয়।
>> খেয়াল রাখবেন, আপনার ব্যবহৃত লিপস্টিকের মেয়াদ আছে কি-না। মেয়াদহীন লিপস্টিক দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
>> অনেক সময় ভুলবশত লিপস্টিকের দাগ লেগে যায় কাপড়ে। ওই দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন শেভিং ক্রিম। কাপড়ের যে স্থানে দাগ লেগেছে, সেখানে সামান্য শেভিং ক্রিম লাগিয়ে স্ক্রাব করলেই উঠে যাবে।
Advertisement
>> কেনার আগে অবশ্যই নির্দিষ্ট ব্র্র্যান্ডের লিপস্টিকের গুণগত মান সম্পর্কে জেনে নেবেন। কম দামি অনেক লিপস্টিকে ক্ষতিকর কেমিক্যাল থাকে; যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
জেএমএস/এসইউ/এমকেএইচ