বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘বন্ধ হওয়া ২৫টি মিলে বছরে ১ হাজার কোটি টাকা লোকসান হতো। লোকসান থেকে বের হতে প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনায় এসব পাটকল বন্ধ করা হয়েছে।’
Advertisement
মঙ্গলবার বিকেলে (৫ জানুয়ারি) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) সভাকক্ষে ‘স্ট্রেংথেনিং অফ জুট ফাইবার ফর কম্পোজিট আ্যপ্লিকেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সচিব বলেন, আমরা মিলগুলো বন্ধ করেছি তাতে কারও কোনো সমস্যা হয়নি। সেজন্য একটি আন্দোলনও হয়নি। কেউ এখনও পর্যন্ত রাস্তায় নামেনি। কারণ সবাই তার ন্যায্য পাওনা বুঝে পেয়েছে।
তিনি বলেন, ৬৯ হাজার শ্রমিকদের মধ্যে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে ৫ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছে। কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ, কোনো প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির ‘দ’ ছিল না।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, সরকার ব্যবসা করবে না। এসব প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে দিয়ে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী সেজন্য একটি ব্যবস্থাপনা কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
এ সময় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রা আয় কিংবা পরিবেশ রক্ষা যেটাই বলা হোক না কেন এখনও পাটের বিকল্প নেই। বরং বিমান, গাড়ি, বাড়ি, ডেকোরেশনে পাট ব্যবহার হচ্ছে। এখন পাটের সেই হারানো দিন ফিরে আসছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবির সাবেক সভাপতি আবদুস সবুর, আইইবির বর্তমান সভাপতি নুরুল হুদা প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) সহকারী অধ্যাপক ফোরকান সরকার।
Advertisement
এনএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ