বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। এ নির্দেশনা সম্পর্কে জানার পরও যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশে ফেরা অব্যাহত রয়েছে।
Advertisement
বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের কথা জেনেও কেন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা ফিরছেন এমন প্রশ্নের জবাবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ওয়েভের ঝুঁকির কারণে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেকে এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্যের চেয়ে বাংলাদেশকে নিরাপদ মনে করছেন। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে জেনেও ফিরে আসছেন। আবার অনেকে ভেবেছিলেন বিমানবন্দরে নেমে ‘কোনো ভাবে ম্যানেজ করে’ হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে পারবেন। কিন্তু বিভিন্ন সংস্থার কঠোর মনিটরিং থাকায় যাত্রীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়ারই সাহস পাচ্ছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই শাহজালালে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দেখে বলেন, ‘এ ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দেখে তারা খুবই খুশি।’
গত ২৪ ঘণ্টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ২১টি ভিন্ন ভিন্ন ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তিন হাজার ২২৭ জন দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ২৩ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। ২৩ জনের মধ্যে ২০ জন যুক্তরাজ্যফেরত। বাকি তিনজনের করোনামুক্ত সনদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
Advertisement
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ডা. আবু সাইদ বলেন, ‘২৩ জনের মধ্যে কাতার এয়ারলাইন্সের কিউআর-৬৪০ ফ্লাইটে একজন, এমিরেটস্ এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে ৯ জন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটে ছয়জন, টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১২ ফ্লাইটে তিনজন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০৬ ফ্লাইটে দুজন এবং এমিরেটসের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটে দুজন ফেরত আসেন। তাদের সবাইকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর কেউ সেখানে না থেকে নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে থাকতে চাইলে তাকে সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
যুক্তরাজ্যফেরত অধিকাংশ যাত্রীই নিজ খরচে হোটেলে থাকছেন বলে তিনি জানান।
এমইউ/এমএইচআর/জেআইএম
Advertisement