কৃষি ও প্রকৃতি

সরকারি সহায়তা পেয়ে বোরো ধান চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

মাগুরায় বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে উন্নত জাতের বীজ ও সার দেয়া হয়েছে।

Advertisement

পাশাপাশি বোরো আবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে কৃষকদের। ফলে আমন ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হতে না হতেই আমনের আবাদের জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে চারদিকে মাঠে মাঠে চলছে এখন বোরো রোপণের ধুম। বোরো মৌসুমে জেলা সদরসহ ৪টি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৯০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। সরকারের পক্ষ থেকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বোরো আবাদের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বোরো আবাদে সেচ সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে ৪টি রাবার ড্যাম প্রস্তুত রয়েছে। রয়েছে ৩০৫টি গভীর নলকূপ। এরমধ্যে ডিজেল চালিত ৪১টি, আর বিদ্যুৎ চালিত ২৬৪টি। অগভীর নলকূপ রয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৫টি, এরধ্যে ডিজেল চালিত ১২ হাজার ৩৩৭টি, বিদ্যুৎ চালিত ৬ হাজার ২৫৮টি।

Advertisement

কৃষকদের সার, বীজ ও কীটনাশকের যোগান দিতে বিসিআইসি’র ডিলার রয়েছে ৫৯ জন। বিএডিসি’র ১২৫ জন। খুচরা বিক্রেতা ৪৫৭ জন। বিএডিসি বীজ ডিলার ১৫৮ জন। কীটনাশক ডিলার পাইকারী ২৮ জন ও খুচরা ৯৯২ জন। এছাড়া পাওয়ার টিলারসহ অন্যান্য পর্যাপ্ত কৃষি যন্ত্রপাতি রয়েছে। খ্যাদে উদ্বৃত্ত এ জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব মতে খাদ্য গ্রহণকারির সংখ্যা ২৫ লাখ। চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যের প্রয়োজন ২ লাখ ৪৮ হাজার ২৬৪ মেট্রিকটন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিকটন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, টেকসই ও লাভজনক ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও ফলপ্রসূ বিকেন্দ্রীকৃত এলাকা নির্ভর চাহিদাভিত্তিক ও সমন্বিত কৃষিসেবা প্রদানের মাধ্যমে সকল কৃষকদের প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

এ জন্য উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের। তিনি বলেন প্রস্তুতি অনুযায়ী বোরো আবাদ হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস রয়েছে।

এমএমএফ/এমআরএম

Advertisement