দেশজুড়ে

স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ আ.লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে

যুবলীগের নির্বাচনী পথসভা থেকে গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের প্রচার মাইক ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় শব্দযন্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে গাংনী বাজারের রেজাউল চত্বরে যুবলীগের পথসভা থেকে ঘোষনা করা হয় ‘বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিহত করা হবে’। পথসভাটি সন্ধ্যার দিকে শেষ হলে এশার আজানের পর শহীদ রেজাউল চত্বরের অপর দিকে মাইক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

যুবলীগ আয়োজিত পথসভায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক। এ সময় জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রচার মাইকের ভ্যানচালক মো. সেলিম জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে মেহেরপুরের দিকে যেতে গাংনী বাজারের আমিরুল মার্কেটের সামনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের প্রচারণা চলছিল। এ সময় কয়েকজন দূর্বৃত্ত মাইক ভেঙে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়।

Advertisement

এ বিষয়ে প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, রোববার এশার আজানের পর গাংনী বাজারে আমার প্রচারণা চলছিল। এ সময় আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলীর লোকজন আমার প্রচার মাইক ভাংচুর করে। এর আগে শনিবারেও ভাঙচুর করা হয়। সে বিষয়ে বিভন্ন দফতরে লিখিত পাঠিয়েছি।রোববার আবারও একই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায়ও জেলা নির্বাচন ও রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তবে আ.লীগ প্রার্থী আহম্মেদ আলী বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা আমার জানা মতে ঘটেনি।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী জানান, শনিবার বিকেলে একটি মাইক ভাঙচুরের ঘটনা আমার দফতরে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। রোববারের কোনো ঘটনা আমার কাছে এখন পর্যন্ত লিখিতভাবে কেউ জানায়নি।

আসিফ ইকবাল/এমএইচআর/জেআইএম

Advertisement