দুই বাংলার সুপারস্টার দেবের জন্মদিনকে ঘিরে রিলিজ দেয়া হয়েছে শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের অ্যাকশন মুভি ‘কমান্ডো’র টিজার। ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে নায়ক দেবের ইউটিউব চ্যানেল ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেনচার্স’-এ দর্শকরা এই চলচ্চিত্রটির টিজার দেখতে পাচ্ছেন।
Advertisement
দেলোয়ার হোসেন দিলের চিত্রনাট্যে কমান্ডো চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। আর এ চলচ্চিত্রটির প্রযোজক বাংলাদেশের খ্যাতনামা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ও শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার মো. সেলিম খান। এ ছবিতে দেবের সঙ্গে দেখা যাবে জাহরা মিতুকে।
‘কমান্ডো’ সিনেমার টিজার প্রকাশের পরপরই আপত্তি জানিয়েছিলেন অনেক মাওলানা ও সাধারণ জনগণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমাটির টিজার তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে। তারমধ্যে ভাইরাল হয় মাওলানা আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ’র একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস।
সেই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে ছবিটির প্রযোজক সেলিম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, ‘কমান্ডো সিনেমা ইসলামবিরোধী নয়। টিজারের একটি দৃশ্য দেখে বলে দেওয়া যায় না সিনেমার পুরো গল্প কি হবে। যারা টিজার দেখে কমান্ডো নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন তাদের এ বিষয়ে ধৈর্য ধরা উচিত। আমি নিজেও একজন মুসলিম। ইসলামকে অবমাননা করার মতো স্পর্ধা বা সাহস আমার নেই।’
Advertisement
এদিকে ‘ফেস দ্য পিপল উইথ সাইফুর সাগর’ নামের একটি টকশোতে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে। তিনিও দাবি করেছেন, কমান্ডো সিনেমার টিজারে ইসলামকে হেয় করা হয়েছে। ইসলামী চেতনা ও ঈমানকে আক্রমণ করা হয়েছে।
মামুনুল হক বলেন, ‘ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা আপত্তির জায়গাগুলোর সবটা রাজনৈতিকভাবে উত্থাপন করি না। ধর্মীয় দায়িত্বের ৮০/৯০ ভাগ আমরা নসিহতের মাধ্যমে, মানুষকে উপদেশের মাধ্যমে পালন করে থাকি। চলচ্চিত্রসহ যাবতীয় বিষয়গুলো সে জায়গাটাতে পড়ে। দেব অভিনীত ছবির টিজার ততটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যে ট্রেলারটা প্রচারিত হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কালেমা খচিত পতাকা, সেই পতাকাটাকে সন্ত্রাসবাদের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ ইসলামী লেবাস পরিহিত, সুন্নত সংবলিত যে লেবাস-পোশাক, যে অবয়ব, বেশভূষা- সেটাকে সংবলিত করে কিছু জঙ্গিবাদী চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আর সেই চিত্রের বিরুদ্ধে কলকাতার একজন অভিনেতাকে অ্যাকশন নিয়ে, কালেমার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে সেটাকে ধ্বংস করার একটা পাঁয়তারা- এমন একটা ভূমিকা আমরা লক্ষ করছি।’
‘এখানে আপত্তির জায়গা হলো যে এটা কিভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’- যেটা মুসলমানদের চেতনার বিষয়, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয় এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের সবচেয়ে আবেগের বিষয়, সবচেয়ে বড় সংবেদনশীলতার যে জায়গাটা, সেটাকে কেউ যদি জঙ্গিবাদী প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়?
Advertisement
এর চেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক আর কী হতে পারে! আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এই বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক শুধু নয়, বরং চরমভাবে সাম্প্রদায়িক এবং উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি। আমরা মনে করছি এর মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইসলামী চেতনা, ঈমান, আত্মমর্যাদায় আক্রমণ করা হয়েছে’- যোগ করেন মামুনুল।
এলএ/এমকেএইচ