চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইউনাইটেড মেডিকেল সেন্টারে প্রসূতিকে সিজার করার সময় নাবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টাও নবজাতককে বাঁচানো যায়নি। শনিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে নবজাতকের মৃত্যু হয়।
Advertisement
প্রসূতির স্বামীর অভিযোগ, মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি ছিল একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনকে দিয়ে সিজার করাবেন। অথচ প্রতিষ্ঠানের মালিক উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার নাজমুল হক আনাড়ি হাতে নিজেই সিজার করেছেন।
জানা গেছে, শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার মাজু গ্রামের সাগর আলীর স্ত্রী রুমা খাতুনের প্রসব বেদনা ওঠে। পরে তাকে আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। দুপুরে প্রসূতির সিজার করা হয়।
রুমা খাতুনের স্বামী সাগর আলী বলেন, সিজারের সময় নবজাতকের পেট কেটে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। ওই অবস্থায় আমার সন্তানকে তারা গোপন কক্ষে তিন ঘণ্টা রেখে দেয়। অনেক আকুতির পর নবজাতককে মায়ের কাছে দেয়া হয়। রাতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমার সন্তানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে নেয়া হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন- আমার সন্তানকে কোনোভাবেই বাঁচানো সম্ভব নয়। পরে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। একদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় আমার সন্তান মারা গেছে।
Advertisement
তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দাবি- সিজারের সময় পেট কাটা হয়নি। জন্মের সময় ত্রুটির কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।ইউনাইটেড ক্লিনিক সেন্টারের মালিক উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার নাজমুল হক বলেন, ‘আমি নয়, প্রসূতির সিজার করেছেন ডা. বিপাশা। জন্মের সময় ত্রুটির কারণে শিশুর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসে। এটা ডাক্তারের ত্রুটি নয়। এখানে কারও কিছু করার ছিল না।’
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এসএম মারুফ হাসান বলেন, ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগেও বিভিন্ন সময় আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড মেডিকেল সেন্টারে বেশ কয়েকজন প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অনেক রোগী অবহেলায় কিংবা ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে। এসব অভিযোগ মেডিকেল সেন্টারটি বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন
সালাউদ্দীন কাজল/এএএইচ/এমএস
Advertisement