বিপদ ও সংকট যেন পিছু ছাড়ছে না রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংককে। একের পর এক সমস্যা ভর করছে রাষ্ট্রখাতের এই প্রতিষ্ঠানটিতে। বর্তমানে এখানে নতুন সমস্যা ছাঁটাই আতঙ্ক। আর এই আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের। ব্যাংকের একাধিক কর্মী জাগো নিউজের কাছে এই অভিযোগ করেছেন। সূত্র বলছে, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ৬৭০ জন কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি গোপন তালিকা করেছে। তালিকা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে তাদের চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে জানতে চাইলে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, আতষ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। এমন কোনো তালিকাও করা হয়নি। সবাই নিজ যোগ্যতা দিয়ে টিকে থাকবে। জানা যায়, ছাঁটাই প্রক্রিয়াকে বৈধতা দিতে একটি পরীক্ষা নেয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কিছু কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে। এদিকে, পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তালিকা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কেউ কেউ বলছেন, এই তালিকা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনিয়ম করেছেন। তারা সর্ম্পক ও যোগ সাজসে এটি করেছেন। এখানে যোগ্যতার কোনো মাপকাঠি বিবেচনা করা হয়নি।শক্রতা বিবেচনায় অনেক যোগ্যদের বাদ দেয়ার নকশা তৈরি করা হয়েছে বলে ব্যাংকের একাংশের কর্মীরা অভিযোগ করছেন। তারা বলছেন, এক তরফাভাবে ফন্দি করে যোগ্যদেরও বাদ দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতনরা যাদের ওপর নাখোশ তারাও রয়েছেন এমন তালিকায়। জানতে চাইলে ব্যাংকের এক কর্মী বলেন, শুনেছি এমন একটি তালিকা করা হয়েছে। তাই রীতিমতো চাকরি নিয়ে শঙ্কা আর ভয়ে দিন যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কোন যোগ্যতার মাপকাঠিতে বাদ দেয়া হবে তাও জানি না। তবে অন্যায়ভাবে বাদ দিলে আমরা সংঘবদ্ধভাবে আদালতে যেতে বাধ্য হবো। জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে ব্যাংকটিতে। সেই ধকল সামাল দিতেই রীতিমতো হিমহিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে নতুন করে কর্মীদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক যেন আরো সংকট তৈরি করেছে ব্যাংকটিতে।এসএ/একে/আরআইপি
Advertisement