দেশজুড়ে

নতুন বছরে পদ্মার চরে বর্ণিল ঘুড়ি উৎসব

ঘুড়ি উৎসবের মাধ্যমে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছে ফরিদপুরবাসী। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ‘ফরিদপুর সিটি পেইজ’-এর আয়োজনে এবং টাইমস বিশ্ববিদ্যালয় ফরিদপুরের সহায়তায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয় শহরতলীর ধলার মোড় এলাকায় পদ্মানদীর পাড়ে।

Advertisement

বিকেলে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টাইমস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আখতারুল ইসলাম।

আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মোহাম্মদ সাইফুল কবির, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান ও দেবাশীষ বিশ্বাস এবং ফরিদপুর সিটি পেইজের মডারেটর ইমদাদুল হক।

উৎসবে পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন ধরন, আকার ও আকৃতির ঘুড়ি নিয়ে সমবেত হয়। পরে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

Advertisement

ফরিদপুর সিটি পেইজ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঘুড়ি উৎসবে বাহারি ডিজাইনের নয়ন তারা, কইরা, চিল, প্লাজো, রোহিঙ্গা, অ্যাংরি বার্ড, ডোল, ঈগলসহ বিভিন্ন নামের কয়েকশ ঘুড়ি পদ্মানদীর বুকের সোনালি বিকেলকে আরও বর্ণিল করে তোলে। সেই সঙ্গে হাজারো শিশু-কিশোর ও যুবক ও অগ্রজদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পদ্মার বালুচর।

ঘুড়ি উৎসবে অংশ নেয়া প্রতিযোগীরা বলেন, এটি অবশ্যই ফরিদপুরের একটি অন্যরকম আয়োজন, এটি এমন একটি উৎসব যেখানে সকল বয়সী মানুষ এক হয়েছে, এটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। আয়োজকদের অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে যে, একদিনের জন্য হলেও আমাদের ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়েছে। করোনার এই সময়ে একটু হলেও আনন্দ পেয়েছি।

উৎসবের অন্যতম আয়োজক ‘ফরিদপুর সিটি’ ফেসবুক পেইজের মডারেটর ইমদাদুল হক বলেন, এ ঘুড়ি উৎসব চতুর্থবারের মতো হচ্ছে। আমাদের শৈশবের স্মৃতিকে যাতে ভুলে না যাই এবং বাঙালির সংস্কৃতির অংশ হওয়ায় এমন আয়োজন করা হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল কবির জানান, এই ধরনের উৎসব আমাদের মনের খোরাক জোগায়। দেখে ভাল লাগছে করোনার সময়ে সবাই মাস্ক পরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। এ ধরনের আয়োজনকে জেলা প্রশাসন সবসময় সহযোগিতা করবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, এটি ছিল আয়োজকদের চতুর্থ আয়োজন। ২০১৮ সাল থেকে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

সিকদার সজল/এআরএ