নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দেশের মানুষকে ডায়াবেটিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে শনিবার নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল-শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্কেটিং, সাইক্লিংয়, প্রশিক্ষণ, সচেতনতামূলক লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ প্রভৃতি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করি, ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকি’।জানা গেছে, বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০ কোটি এবং ২০৩০ সালে ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। আশির দশকে দেশে ডায়াবেটিসের প্রবণতা ছিল মাত্র দুই শতাংশের মতো। সেখানে আজ তা ঢাকা শহরেই প্রায় ১০ শতাংশ ছুঁয়েছে এবং প্রিডায়াবেটিসের (ডায়াবেটিস এর আগের ধাপ) হার আরো প্রায় ১০ শতাংশ।সাম্প্রপ্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চলের সামগ্রিক প্রবণতা প্রায় ৫ থেকে ৮ শতাংশ। এভাবে বাড়তে থাকলে শুধু ডায়াবেটিসের কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। শুধু দেশেই এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। সেই সঙ্গে প্রতি বছর এক লাখ নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে।ডায়াবেটিক সচেতনতা দিবস ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ফার্স্টফুডকে না’ বলুন এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার সকালে জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে একটি পদযাত্রা বের করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি।পদযাত্রায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান, বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুন নাহারসহ ডায়াবেটিক সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।এদিকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি (ডায়াবেটিস ও হরমোন) বিভাগের উদ্যোগে একটি র্যালি বের করা হয়।র্যালিটির উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসাসেবায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে জানিয়ে সমাবেশে কামরুল হাসান খান বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও জীবনযাপনের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিশ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা যায়।বিশেষজ্ঞদের মতে, সময় মতো ইন্টারভেনশন (খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার পরিবর্তন)-এর দ্বারা প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে, পরিমিত আহারে ও নিয়মিত ব্যায়ামে ডয়াবেটিস-এর মহামারী প্রতিরোধ করা যায়। একে/আরআইপি
Advertisement