করোনার বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের কারণে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বড় কোনো আয়োজন ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো বই উৎসব। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সীমিত পরিসরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এই বই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
Advertisement
অন্যান্য বছর প্রথমদিনে সব শিক্ষার্থী একসঙ্গে বই হাতে পেলেও এবার একসঙ্গে বেশি শিক্ষার্থীর সমাগম ঠেকাতে জেলায় মাধ্যমিকে বই বিতরণ করা হচ্ছে চার ধাপে আর প্রাথমিকে বই বিতরণ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুপাতে।
এবার জেলার প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ ৫৬ হাজার বই বিতরণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে প্রাথমিকে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ২৭ হাজার ৫৯১ শিক্ষার্থীর মধ্যে তাদের নিজস্ব ভাষায় ৬২ হাজার ৩৯১টি বই বিতরণ করা হচ্ছে। অপরদিকে প্রাথমিকে সাধারণ ৯৬ হাজার ১২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২২০টি বই।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের মধ্যে প্রায় নয় লাখ বই বিতরণ করা হচ্ছে।
Advertisement
রাঙ্গামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আমরা অন্যান্য বছরগুলোর মতো এবার বৃহৎ পরিসরে কোনো বই উৎসবের আয়োজন করিনি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি তারা কয়েক ধাপে বই দেবেন। আশা করছি, ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থী বই পাবে। জেলার ৭০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সেসব বিদ্যালয়ে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা শিক্ষার্থী রয়েছে তারা পাবে নিজস্ব ভাষার বই।
শংকর হোড়/এমআরআর/জেআইএম
Advertisement