সারা বছর করোনার আতংক ছড়িয়ে কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে বিষে ভরা ২০২০ সাল। অনেক মৃত্যু, হতাশা, ক্লান্তি ও নানা ঘটনার মাঝে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা খুনের অঘটনকে করোনার সঙ্গী হিসেবে গণ্য করে শেষ হলো আরও একটি বছর।
Advertisement
করোনা দূর্যোগের কারণে থার্টিফার্স্ট নাইটের আয়োজন এবার বন্ধ ছিল। তবে উল্লেখ করার মতো পর্যটক উপস্থিতি রয়েছে কক্সবাজারে। বছরের শেষ সূর্য ডোবা দেখতে সৈকতে হাজির হয়েছেন প্রকৃতি সচেতন পর্যটক ও স্থানীয় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা।
শীতল আবহাওয়া থাকলেও বর্ষ বিদায়ের শেষ দিনে সূর্য লাল আভা ছাড়িয়ে বিদায় নিয়েছে। শুক্রবারের সূর্যোদয়ের মধ্যদিয়ে পথচলা শুরু হয়েছে ২০২১ খিষ্টাব্দের। ৩৬৫ দিনের সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব পেছনে ফেলে পরিচ্ছন্ন আগামীর প্রত্যাশায় ২০২১ সালকে স্বাগত জানিয়েছে সবাই। উন্মুক্ত কোনো আয়োজন না থাকলেও নিজেদের মতো করে নতুন বছরকে বরণ করেছেন সব শ্রেণির মানুষ।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ অন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
Advertisement
হোটেল-মোটেল জোনের সী-নাইট হোটেলের ব্যবস্থাপক শফিক ফরাজী বলেন, বিগত বছরগুলোতে থার্টিফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠানে লাখো পর্যটক উপস্থিত হতেন। এবার কোনো আয়োজন না থাকলেও বিগত সময়ের মতো সৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। এসেছেন স্থানীয়রাও। কিন্তু এবার আতংক সবসময় বিরাজমান ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটকসহ স্থানীয়রাও এসেছেন সৈকতে। শীতের কারণে কেউ সমুদ্রে নামেননি। সবাই বালুচরে দাঁড়িয়ে সাগরের গর্জন আর সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ জানান, থার্টিফার্স্ট নাইটে দেশের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা বসত কক্সবাজার সৈকতে। এবার অনুষ্ঠান না থাকলেও লোকসমাগম ভালোই হয়েছে বলে জেনেছি। নতুন বছর বরণ ও বর্ষ বিদায়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আলোকিত করা হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, অনুষ্ঠান না থাকলেও পর্যটন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর অবস্থা রোধে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
এফএ/এমএস