আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য সংরক্ষণ ইউনিট জানিয়েছে, ২০২০ সালে ১ হাজার ৬২৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দুই বছর আগের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণ। ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ৭৩২ জন নারী, ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৪১৩ জন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে আসক। সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আসক সদস্য আবু আহমেদ ফজলুল কবির।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইনটি কার্যকর করা শুরু হয়। কিন্তু সেদিন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ১৬০ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২০ সালে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৫৩ নারী। ধর্ষণের পরে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন। একই সময়ে যৌন নির্যাতন ও উত্যক্তের শিকার হয়েছেন ২০১ জন নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১০৬ জন পুরুষ হামলার শিকার হয়েছেন।
Advertisement
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫৫৪ জন নারী। নারী নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন ৩৬৭ জন, আত্নহত্যা করেছেন ৯০ জন। ২০১৯ সালে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ২১৮ জন নারী।
একই সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০১৮ শিশু। ২০২০ বলাৎকারের শিকার হয়েছে ৫২ ছেলে শিশু। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ জন। শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণের পর হত্যা, অপহরণ ও নিখোঁজের পর হত্যার শিকার হয়েছে ৫৮৯ শিশু। ২০১৯ সালে নিহত শিশুর সংখ্যা ছিল ৪৮৮ জন। এছাড়া ১৭১৮ শিশু নানান ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত সনদের (সিডও) ধারা ২ এবং ১৬ (গ) থেকে আপত্তি প্রত্যাহার ও নারীর প্রতি সহিসংতা বন্ধে কার্যকর সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি নেয়াসহ মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে ১০ দফা দাবি জানায় আসক।
এসএম/এমএইচআর/জেআইএম
Advertisement