যুক্তরাজ্য সরকার আজ দেশটিতে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। বিষয়টিকে বাংলাদেশের জন্য সুখবর হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Advertisement
মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন হওয়া মাত্রই ভ্যাকসিনটি ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও চলে আসবে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালির বিসিপিএস অডিটরিয়াম হলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত ডাটা মিডিয়া ব্লুমবার্গ কর্তৃক বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী ২০তম ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম স্থানের স্বীকৃতি উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের অনুমোদন প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনতে গত ৫ নভেম্বর সরকার চুক্তি করছিল। আজ যুক্তরাজ্য সরকার সেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এটি অবশ্যই আমাদের জন্য সুখবর। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন হওয়া মাত্রই সেটি ভারতের পাশাপাশি আমরাও পেয়ে যাবো।’
Advertisement
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এরপর আগামী জুন মাসের মধ্যেই গ্যাভী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আরও পাঁচ থেকে ছয় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ না নেয়ায় ১৮ বছরের নিচে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষকে ও গর্ভবতী প্রায় ৩৫ লাখ মায়েদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া না লাগলে পাঁচ থেকে ছয় কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োগেই দেশ অনেকটা নিরাপদ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
ব্লুমবার্গের স্বীকৃতিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্লুমবার্গ কেবল দেশের অর্থনৈতিক সফলতা দেখেই রিপোর্টটি করেনি। প্রতিষ্ঠানটি করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো, টিকাদান সক্ষমতা, চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১০টি ম্যাট্রিক্স বিবেচনা করে এই ফলাফল ঘোষণা করেছে। কাজেই এই ফলাফল আমাদের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই ফলাফলে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আরও গতিশীলভাবে কাজে নেমে পড়তে হবে বলে উপস্থিত চিকিৎসকদের জানান।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
Advertisement
এমইউ/এমআরআর/জেআইএম