দেশজুড়ে

রূপগঞ্জে মহিলা লীগ নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের টেংরারটেক এলাকার আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী হালিমা বেগম জরিনাকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ হালিমা বেগম জরিনার মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত হালিমা বেগম জরিনা ওই এলাকার রশিদ পাটোয়ারীর মেয়ে। তিনি স্থানীয় ভুলতা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের নেত্রী হিসেবে পরিচিত। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৮ বছর আগে হালিমা বেগম জরিনার সঙ্গে চাঁদপুরের আনোয়ার হোসেন নামে এক প্রবাসীর বিয়ে হয়। ওই সংসারে হৃদয় (১৫) নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে প্রথম স্বামী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে হালিমা বেগম জরিনার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর গত ৩ মাস আগে উপজেলার হাটাবো টেকপাড়া এলাকার জমির দালাল বিবাহিত নুর মোহাম্মাদের (৪০) সঙ্গে হালিমা বেগম জরিনার আবার বিয়ে হয়। বিয়ের পর একটি জমি নিয়ে হালিমা বেগমের সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামী নুর মোহাম্মদ ও তার লোকজনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে পরিবারের ধারণা। রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, সকালে নিজ বাড়ির পাশের একটি জমিতে আওয়ামী মহিলালীগ নেত্রী হালিমা বেগম জরিনার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারসহ স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত হালিমা বেগম জরিনার বাবা রশিদ পাটোয়ারী জানায়,  শুক্রবার রাত ৯ টায় নুর মোহাম্মাদ নুরু তার ৩ বন্ধুকে নিয়ে তার বাড়িতে আসে। এ সময় হালিমা বেগম জরিনার সঙ্গে নুর মোহাম্মদসহ ওই ৩ বন্ধুর বাক-বিতণ্ডা হয়। বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে রশিদ পাটোয়ারী এগিয়ে আসলে তাকে চলে যেতে বলা হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক-বিতণ্ডার ফলে রশিদ পাটোয়ারী ওই স্থান ত্যাগ করে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মেয়েকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির করতে গিয়ে দেখতে পান একটি জমিতে হালিমা বেগম জরিনার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), উপজেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী হাসিনা গাজী, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মতিনসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জানান, ঘাতকরা জরিনাকে অন্য কোথাও মেরে এখানে ফেলে রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মরদেহটির পাশে পড়ে থাকা একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হালিমা বেগম জরিনার স্বামী নুর মোহাম্মাদ পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। মীর আব্দুল আলীম/এসএস/এসএম

Advertisement