ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বাটাক্লঁ কনসার্ট হলের সশস্ত্র হামলাকারীদের সবাই নিহত হয়েছে। প্যারিসের পাবলিক প্রসিকিউটর ফ্রান্সিস মলিনসের একজন মুখপাত্র জানান, প্যারিসের ছয়টি স্থানে আট হামলাকারী নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন আত্মঘাতী বেল্ট পরিহিত ছিল। তবে এদের মধ্যে একজন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। খবর রয়টার্স।শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসের ছয়টি স্থানে ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। পৃথক স্থানে এসব হামলার ঘটনায় দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্যারিসের একটি রেস্তোঁরা, বাটাক্লঁ কনসার্ট হল ও একটি স্টেডেয়ামে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। এ সময় বন্দুকধারীরা নির্বিচারে গুলি চালায়। ভয়াবহ এ সন্ত্রাসী হামলার পর ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ। দেশটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। হামলাকারীদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ওঁলাদ।শনিবার প্যারিসের মেট্রো রেল, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি ভবন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিমান ও কিছু কিছু এলাকায় হালকা পরিমাণে বিমান ও রেল চলাচল করছে।শুক্রবার মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বলেন, এটি ভয়াবহ ঘটনা। পরে তিনি বাটাক্লঁ কনসার্ট হলে পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি বলেন,সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনো দয়া দেখানো হবে না।এ ঘটনায় প্যারিসে ১৫ শ সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ইউরোপে ২০০৪ সালের পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। শুক্রবারের এ হামলায় আহত হয়েছেন অারো অন্তত দুই শতাধিক। এদের মধ্যে ৮০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের ব্যাঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর অফিসে দুই বন্দুকধারী হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ১২ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়।এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই হামলার নিন্দা জানিয়ে হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্সের পাশে থাকার কথা বলেছে ন্যাটো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এই হামলা ছিল সংঘবদ্ধ। এ হামলা শুধু ফ্রান্সের উপরে নয়, এটা বিশ্ব মানবতার উপর হামলা।এসঅাইএস/এসএম
Advertisement