লোকমুখে প্রচলিত আছে, যুক্তরাষ্ট্রের জ্বর হলে কাঁথা গায়ে দেয় জাপান। অর্থাৎ এ দুই দেশের সম্পর্ক কতটা নিবিড়, মূলত সেটাই বোঝানো হয় এই কথা দিয়ে। ওয়াশিংটন-টোকিওর এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রভাব দেখা যায় তাদের শেয়ারবাজারেও। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মন্দা গেলে জাপানেও দেখা যায় নিম্নগতি। আবার মার্কিন শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইলে রকেটগতিতে ছোটে জাপানিরা। মঙ্গলবার সেই ধারা অনুসরণ করে রীতিমতো ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে নিক্কেই ২২৫। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রধান শেয়ারবাজারে লেনদেনের ঊর্ধ্বগতি দেখা গিয়েছিল। এর মধ্যে শিল্পপ্রধান ডো জোনস সূচকে নতুন সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড হয়েছে। বিশাল অংকের করোনা সহায়তা তহবিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনে আশার সঞ্চার হয়েছে ব্যবসায়ীদের মনে।
Advertisement
এর প্রভাব পড়েছে জাপানের শেয়ারবাজারেও। মঙ্গলবার টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের নিক্কেই ২২৫ সূচকের পয়েন্ট বেড়েছে ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এদিন তাদের পয়েন্ট ৭১৪ দশমিক ১২ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৫৬৮ দশমিক ১৫, যা ১৯৯০ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে সর্বোচ্চ। এর আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার নিক্কেই সূচকের পয়েন্ট বেড়েছিল ১৯৭ দশমিক ৪২।
ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে টপিক্স সূচকেও। মঙ্গলবার জাপানের অন্যতম প্রধান এই সূচকে পয়েন্ট বেড়েছে ৩১ দশমিক ১৪ বা ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর দিনশেষে তাদের মোট পয়েন্ট দাঁড়ায় ১ হাজার ৮১৯ দশমিক ১৮।
এ নিয়ে টানা পঞ্চমদিন সূচকের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেল টপিক্সে। সোমবার তাদের পয়েন্ট বেড়েছিল ৯ দশমিক ৬৩। ব্যবসায়ীরা বলছেন, টোকিও শেয়ারবাজারের ঊর্ধ্বগতি হুট করে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ বাজার বিষয়ক উদ্বেগ অনেকটাই কমে এসেছে এবং টিকাদান শুরু হওয়ার কারণে করোনভাইরাসের আশঙ্কাও প্রশমিত হয়েছে।
Advertisement
তবে এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে অনেকের। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট এক জাপানি কর্মকর্তা বলেছেন, নিক্কেইয়ের সূচক ভারসাম্যহীন পদ্ধতিতে বাড়ছে। এর প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোই অর্জনের বেশিরভাগ লাভ করছে। তার মতে, নিক্কেইয়ের এই ঊর্ধ্বগতি বেশি দিন স্থায়ী হবে না।
সূত্র: সিএনবিসি
কেএএ/এমএস
Advertisement