দেশজুড়ে

‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’

নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদ।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন সংসদ সদস্য শিউলি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুরের চাচাতো ভাই ঠাকুর মেজবাহ উদ্দিন মিজানের নাম প্রস্তাব করিনি আমি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস করছে ষড়যন্ত্রকারীরা।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাই প্রথমে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য হিসেবে ঠাকুর মেজবাহ উদ্দিন মিজানের নাম আমার কাছে প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু তাকে নিয়ে বিতর্ক থাকায় আমি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি।

Advertisement

পরে আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করি। তাকে নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই।

সংসদ শিউলি তার বিবৃতিতে বলেন, সরাইলের একজন জনপ্রতিনিধি আমার স্বামী ইকবাল আজাদ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমার বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন ওই জনপ্রতিনিধি।

এর আগে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুলের সঙ্গে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুরের চাচাতো ভাই ঠাকুর মেজবাহ উদ্দিন মিজানের নাম প্রস্তাব করার অভিযোগে সাংসদ শিউলি আজাদকে বর্জনের ডাক দেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

আজিজুল সঞ্চয়/এসএমএম/এমকেএইচ

Advertisement