করোনার সেকেন্ড ওয়েভ (দ্বিতীয় ঢেউ) নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল সরকার। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ সংক্রমণে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত ও মৃতের খবরে শীতকালে দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু শীতকালে এখন পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়নি বরং কমেছে।
Advertisement
মাসখানেক আগেও প্রতি ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের হার ১২ বা ১৩ শতাংশ থাকলেও সর্বশেষ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
যুক্তরাজ্য তথা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহনে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে। ফলে বিদেশ থেকে আমদানি হয়ে আসা করোনার সংক্রমণ বন্ধ করা আপাতত সম্ভব হওয়ায় সংক্রমণের হার কমে এসেছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয় করোনা সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা প্রচার করেছে এবং দ্রুত নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারণের ফলে সংক্রমণ কম বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশের ১৬৩টি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৩৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৬১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৭টি।
এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৯৩২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ১০ হাজার ৮০ জনে পৌঁছাল।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৫৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক শূন্য ৮৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
Advertisement
এমইউ/এআরএ/এমকেএইচ