ফরিদপুর সদর উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে ৬ জন আহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চৌধুরীডাঙ্গী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।চৌধুরীডাঙ্গী গ্রামের মো. সিদ্দিক শেখের ছেলে শামচু শেখ (৩২) জানায়, তার চাচার বাড়িতে ডাকাত পড়েছে এমন চিৎকারে সে এগিয়ে আশে। ডাকাত ডাকাত করে চিৎকার করে ধাওয়া করলে তার বাম হাতের কনুই এর উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় ডাকাতরা। আব্দুল বারেক জানান, ফজরের আযানের কিছুক্ষণ আগে আমরা লাঠি সোটা নিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করি। এ সময় চৌধুরী ডাঙ্গীর পাকা রাস্তার পাশে একজনকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আবার ডাকাত ডাকাত শুনে সামনের দিকে এগিয়ে দেখি বড় রাস্তার পাশে খাদের মধ্যে আরো একজনকে এলাকার লোকজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কুপিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় আহত হয় শামছু (৩২), সোহেল চৌধুরীসহ (১৬) আরও চারজন।এদিকে ডাকাতির ঘটনায় ৪ জন ডাকাত মারা গেছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে যায়। ডাকাতদের প্রত্যেকে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মারা হয়েছে বলে জানা যায়।চরমাধবদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান খোকনু রহমান তুহিন মন্ডল জানান, এই এলাকাগুলোতে প্রায় চুরি ডাকাতি হত। এতে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়ে। গতরাতে চৌধুরীডাঙ্গী, চরদূর্গাপুরসহ আশাপাশের এলাকাবাসী ডাকাতদের ধরে গণপিটুনি দিলে তারা সকলেই ঘটনাস্থলেই মারা যায়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের মরদেহ ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান। ডাকাতির ঘটনায় ম্যাগাজিনসহ একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।এসএম তরুন/এসএস/এসএম
Advertisement