বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রীদের ফিরে আসার ব্যাপারে জিরোটলারেন্স নীতি অবলম্বন করছেন। ফলে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের প্রায় শতভাগই এখন করোনামুক্ত সনদ সঙ্গে নিয়ে ফিরছেন।
Advertisement
গত ৫ ডিসেম্বর করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করা যাবে না- মর্মে নির্দেশনা জারির করা হয়। এরপর থেকে একাধিক এয়ারলাইন্স, ফ্লাইট অপারেটর এমনকি যাত্রীদেরও আর্থিক জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফলে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও যাত্রীরা এখন নিজেরাই সচেতন হয়ে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে ফিরছেন।
তবে হাতে গোনা দু-একজন আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরির রিপোর্টের বদলে র্যাপিড টেস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে ফিরছেন। আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি ছাড়া অন্য কোনো সার্টিফিকেট গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (২৮ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে ১৭টি ফ্লাইটে দুই হাজার ১০০জন যাত্রী আসেন। এদের মধ্যে রোববার দুপুর ১টার দিকে ইস্তাম্বুল থেকে আসা টিকে-৭১২ ফ্লাইটের একজন যাত্রী র্যাপিড টেস্ট সনদ নিয়ে আসেন।
Advertisement
তিনি জানান, আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতেও টেস্ট করিছেন তিনি। তবে রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় তিনি র্যাপিড টেস্ট সনদ নিয়েই ফিরেছেন। পরে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশকোনা হাজি ক্যাম্পের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি চালুর ফলে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া প্রবাসফেরত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার মেয়াদ কমেছে। ল্যাবরেটরি চালুর ফলে এখন ইউরোপ ফেরত যাত্রীদের সাতদিনের মধ্যে এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের তিনদিনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করে দ্রুত রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে। পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।
শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শাহরিয়ার সাজ্জাদ জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বর্তমানে প্রবাস ফেরত যাত্রীর চাপ অনেক কম। গত ৫ ডিসেম্বর করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করা যাবে না এমন নির্দেশনা জারির পর প্রথমদিকে জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রীদের নিয়ে আসতেন। কিন্তু বেবিচকের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স, ফ্লাইট অপারেটর ও যাত্রীরা সতর্ক হয়েছেন।
এমইউ/এসজে/জেআইএম
Advertisement