খেলাধুলা

সুইডেনে আমার ২ সন্তান, মিলানে ২৫ জন : ইব্রাহিমোভিচ

ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের জন্য রীতিমতো সান্তা ক্লজ হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছেন সুইডিশ তারকা ফুটবলার জ্বলাতান ইব্রাহিমোভিচ। চলতি মৌসুমে লিগে খেলা মাত্র ছয় ম্যাচে করেছেন ১০ গোল। ইতালিয়ান সিরি ‘আ’য় মিলান রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। এপর্যন্ত খেলা ১৫ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট।

Advertisement

শুধু খেলার মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও নিজেই নিজেকে সান্তা ক্লজ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন ইব্রাহিমোভিচ। যিনি নিজের ২৭ সন্তানের জন্য বড়োদিনের উপহার আনেন। এই ২৭ সন্তানের মধ্যে দুইজন আছে সুইডেনে আর বাকি ২৫ জন মিলানে তার ক্লাব সতীর্থ। দলের খেলোয়াড়দেরও নিজের সন্তানের মতোই দেখেন ইব্রা।

স্পোর্টসউইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সুইডিশ তারকা বলেছেন, ‘আমি কখনও বড়োদিনে কারও কাছ থেকে কিছু নাই। আমি সান্তা ক্লজ। আমিই আমার ২৭ সন্তানের জন্য উপহার নে। দুইজন সুইডেনে আর বাকি ২৫ জন মিলানে।’

গত জানুয়ারিতে মিলানে যোগ দেয়ার পর মাঠেও দুর্দান্ত খেলে চলেছেন ইব্রাহিমোভিচ। মাত্র ছয় ম্যাচে করেছেন ১০টি গোল। মার্চে করোনা লকডাউনের পর মিলান হারেনি কোনও ম্যাচ। চলতি মৌসুমেই যেমন ১৪ ম্যাচে ১০ জয় ও ৪ ড্রতে ঝুলিতে পুরেছে ৩৪ পয়েন্ট। অথচ গত মৌসুমে প্রথম ১৪ ম্যাচে তারা নিতে পেরেছিল মাত্র ১৭ পয়েন্ট।

Advertisement

মিলানের এমন প্রত্যাবর্তনের কৃতিত্ব পুরোপুরি নিজে নিতে চান না ইব্রা। তবে দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারায় খুশি তিনি, ‘চলতি বছর আমরা যা করেছি এবং করছি, সেজন্য সবাইকে অভিনন্দন। আমরা খুব কম ম্যাচ হেরেছি। আমি জানি না এর জন্য আমাকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত কি না। তবে আমিও কিছু করেছি, কিছু যোগ করেছি।’

সাফল্যমণ্ডিত ক্লাব ক্যারিয়ারে এখনও পর্যন্ত চারটি ভিন্ন দেশে ১১টি লিগ শিরোপা জিতেছেন ইব্রা। নিজ দেশ সুইডেনের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছে ১২ বার। তবে ব্যালন ডি অরে তার সেরা সাফল্য ২০১৩ সালে চতুর্থ হওয়া। এতে তার কোনও আক্ষেপ নেই। এমনকি বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের বদলে ব্যালন ডি অর’ও চান না তিনি।

ইব্রার ভাষ্য, ‘ব্যালন ডি অরের জন্য আমি আমার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অদল-বদল করব না। আমার কাছে এ পুরস্কারগুলো ধারাবাহিকতার প্রতীক। অনেক খেলোয়াড়কে দেখেছি যারা বিশ্বকাপ জিতেছে, ইউরোপিয়ান কাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগ এমনকি ব্যালন ডি অরও জিতেছে। কিন্তু তারা পরে হারিয়ে গেছে। অথচ আমি ২৫ বছর ধরেই শীর্ষে অবস্থান করছি। এটা বড় পার্থক্য।’

এসএএস/জেআইএম

Advertisement