সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকার বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নির্মিত বিজয় একাত্তর হল থেকে তাদের আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।আটকরা হলেন- স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমরান, বাংলা বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র ফিরোজ, ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আব্দুর রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষের ছাত্র গোলাম মোস্তফা এবং তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হানিফ।এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, “সরকার এবং সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি দিচ্ছে এমন অভিযোগে ওই পাঁচজনকে রাতে রুম থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহবাগ থানায় নেয়া হয়েছে।”তাদের স্ট্যাটাসগুলো শিবিরের মত বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, “মূলত এটাকে আটক করা বুঝায় না। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। যদি প্রমাণ হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে, আর যদি প্রমাণ না হয় তাহলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।”অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, “হল প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী ছয় শিক্ষার্থীকে এবং প্রক্টর অফিসে থাকা তথ্য অনুযায়ী সাত শিক্ষার্থীকে আটক করতে প্রক্টরিয়াল টিম বিজয় একাত্তর হলে যায়। এ সময় পাঁচজনকে পাওয়া গেলেও বাকি দুই জনকে পাওয়া যায়নি। আটকদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।”তিনি আরো বলেন, “রাতেই আটকদের শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শনিবার তাদেরকে কোর্টে তোলা হতে পারে। অভিযুক্তদের অভিযোগ প্রমাণ হলে মামলা এবং প্রমাণ না পেলে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।”এদিকে আটকের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “রাতে তাদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থানায় হস্তান্তর করেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”তবে কি অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন।জানা গেছে, তাদের এখনো শাহবাগ থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আবার আটকদের নিয়ে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি হয়েছে।হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ ইনান জাগো নিউজেকে বলেন, “রাতে স্যাররা পাঁচজনকে আটক করেছেন। তবে এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। স্যাররাই ভালো জানেন।”এমএইচ/আরএস
Advertisement