আন্তর্জাতিক

সদস্য দেশগুলোতে সমন্বিতভাবে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করছে ইইউ

সকল সদস্য দেশগুলোতে সমন্বিতভাবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সংস্থাটির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই পদক্ষেপকে ‘একতার মর্মস্পর্শী মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন। খবর বিবিসির।

Advertisement

শনিবার ইইউ’র বিশেষ শাখা ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেন, সংস্থার মোট ২৭টি দেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। তবে ইউরোপের কিছু দেশ শনিবার থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করে দিয়েছে। আর একদিনও অপেক্ষা করা সম্ভব নয় বলে জানায় তারা।

ইউরোপে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৫ হাজারের বেশী মানুষ করোনায় মারা গেছেন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৪০ লাখেরও বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় সকল দেশেই বর্তমানে কঠোর লকডাউন চলছে।

যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া যাওয়ার পর এই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ইউরোপে বসবাসরত মোট ৪৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের আওয়তায় আসবে।

Advertisement

ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থা (ইএমএ) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়ার পর এই সিদ্ধান্ত এলো। বেশ কয়েকটি ওষুধ কোম্পানির কাছে ইইউ ২শ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ অর্ডার করে রেখেছে।

ইইউর এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্পান বলেন, ‘এটি বড়দিনে এক সত্যিকার আনন্দের খবর। এই মূহূর্তে ভ্যাকসিনের লরি সারা ইউরোপ, সারা জার্মানি ও সকল অঙ্গরাজ্যগুলোর রাস্তায় চলছে। পরশুদিন পরবর্তী বিতরণ আসবে।’

ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইগি ডি মাইয়ো তার দেশের জনগণকে ভ্যাকসিন নিতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আবার স্বাধীনতা ফিরে পাব, আবার আমরা পরস্পরকে আলিঙ্গন করতে সক্ষম হব।’

এদিকে, জার্মানির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন তারা রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয়। হালবেরস্ট্যাডের নার্সিং হোমগুলোতে বয়স্কদের মধ্যে তারা ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করে দিয়েছেন।

Advertisement

হাঙ্গেরিতে প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছেন ডেল-পেস্ট কেন্দ্রীয় হাসপাতালের এক চিকিৎসক। ইউরোপের আরেক দেশ স্লোভাকিয়াও ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে।

এমকে/এমকেএইচ