সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় এ কার্যক্রম শেষ হয়। এতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ আবেদন পড়েছে।
Advertisement
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সফটওয়্যারের মাধ্যমে সারাদেশে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন বিকেলেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৮০ হাজার শূন্য আসনের জন্য ৫ লাখের কাছাকাছি আবেদন এসেছে। আজ বিকেল ৫টায় আবেদনের সময় শেষ হলেও রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে। ফলে মোট আবেদন সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) মো. বেলাল হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবার একযোগে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং একযোগে শেষ হচ্ছে। এ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখের কাছাকাছি আবেদন জমা হয়েছে। অনেকে এক বিদ্যালয়ে একাধিক শিফটে আবেদন করেছে।
Advertisement
আগামী ৩০ ডিসেম্বর লটারি আয়োজন করা হবে। সেদিন রাতের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এবার ভর্তি নীতিমালায় নতুন কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়ার পরিবর্তে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। ভর্তি ফরমের মূল্য ১৭০ টাকার বদলে ১১০ টাকা করা হয়। আগের মতো আর স্কুলে বড় আয়োজনের মাধ্যমে লটারি অনুষ্ঠিত হবে না। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে। টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সহায়তায় এটি পরিচালিত হবে।
ঢাকা মহানগরীতে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি শাখা রয়েছে। ঢাকার এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আসন আছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। এর সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয়ও যুক্ত হচ্ছে। এগুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজটি করা হয়। এছাড়া ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজারের মতো আসন রয়েছে।
এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছে বা ভাগ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। এবার একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পায়। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এতদিন একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের মাধ্যমে একটি বিদ্যালয়কে বেছে নিতে পারত।
Advertisement
এমএইচএম/এসজে/এমকেএইচ