মৌলভীবাজারে ১৫ বছর ধরে পাহাড় টিলায় বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ হয়ে আসছে। চাষিরা জানান এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়নি। বাজার দখল করেছে আগাম ভারতীয় কমলায়। কৃষি বিভাগ জানায় সমস্যা সমাধানে তারা চাষিদের পরামর্শ দিয়েছে।
Advertisement
জেলার সীমান্তবর্তী বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া,শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর, উপজেলার ১৪২ শতক জমিতে কমলা চাষ হয়। চলতি বছর কমলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার মেট্রিকটন।
এ অঞ্চলের মাটি আবহাওয়া কমলা চাষের উপযোগী হওয়ায় জুড়ী বড়লেখার হায়ছড়া, লালছড়া, শুকনাছড়া, রুপাছড়া, জরিছড়া ও কচুরগুল টিলার উপর ছোট বড় কমলার গাছ। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে কাচাঁ, আধাপাকা ছোট ছোট কমলা।
নাগপুরি, খাসি, ছাতকী, চায়নিজ কমলা। সুদূর চীন দেশ ও বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক চাষ হয় বলে ফলটির এমন নামকরণ। তবে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের লালছড়া গ্রামের কমলা চাষি মুর্শেদ মিয়ার বাগানে বিভিন্ন জাতের কমলা চাষ হলেও এ বছর লোকসানে আছেন। কমলার ফলন কম হওয়ায় হতাশ চাষিরা। কথা হলে মুর্শেদ মিয়া বলেন এবার ফলন ভালো হয়নি।
Advertisement
দেশীয় কমলা বাজারজাত করার আগেই। বাজারে আগাম ভারতীয় কমলা এসেছে। এতে আমাদের যা উৎপাদন হয়েছিল তা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রচুর লোকসান হচ্ছে। লালছড়ার শিল্পী বেগম বলেন ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে কমলার ফুল আসে। এ সময় দীর্ঘ খরার কারণে ফুল ঝড়ে যায়। এতে কমলার ফলন অনেক কমে গেছে।
জুড়ী উপজেলার ডুমা বাড়ি এলাকার ইসমাইল মিয়া বলেন পোকামাকড় ও এক ধরণের কালো প্রজাপতির আক্রমণে গাছ থেকে ঝড়ে পড়েছে কমলা।
লালছড়ার মানিক মিয়া বলেন প্রত্যাশিত ফলন না হওয়ায় কমলা চাষে পুঁজি নিয়ে ঠিকে থাকা কঠিন হবে। এবার উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। রাজনগরের মোক্তার মিয়া বলেন আমরা বিচ্ছিন্নভাবে বাড়ির টিলায় কমলা চাষ করে আসছি। এ বছর কমলার ফলন ভালো হয়নি।
মৌলভীবাজার কৃষি অধিদফতরের উপ-সহকারী পরিচালক কাজী লুৎফুল বারি বৈরী আবহাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন জুড়ী, বড়লেখা, কুলাউড়া উপজেলায়। সমস্যা সমাধানের জন্য কমলা চাষিদের আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
Advertisement
এমএমএফ/এমকেএইচ