রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বরেণ্য অভিনেতা আবদুল কাদের। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) মাগরিব নামাজের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বনানী কবরস্থান মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
আবদুল কাদেরের ইচ্ছা ছিল মায়ের কবরে যেন তাকে দাফন করা হয়। সে অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে।
বনানী কবরস্থানে নেয়ার আগে বিকেলে তার মরদেহ রাখা হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার কফিনে শ্রদ্ধা জানান। এতে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অংশ নেন।
শনিবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আবদুল কাদের। প্যানক্রিয়াসের (অগ্ন্যাশয়) ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন দেশের নন্দিত অভিনেতা। তার শারীরিক অবস্থা জটিল হওয়ায় নেয়া হয় ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে তাকে দেশে আনা হয়।
Advertisement
আবদুল কাদেরের জন্ম মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। তার বাবা মরহুম আবদুল জলিল। মা মরহুমা আনোয়ারা খাতুন। স্ত্রী খাইরুননেছা কাদেরের সঙ্গে দাম্পত্যে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
আবদুল কাদের হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। এছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে দুলাভাই চরিত্রে অভিনয় করেও দারুণ প্রশংসিত হন।
এমএইচআর/জেআইএম
Advertisement