বিনোদন

আব্দুল কাদেরের মৃত্যু গুজব, ভিডিওতে কাঁদছে তার নাতনি

ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ভারতের চেন্নাইয়ের ক্রিস্টিয়ান মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন অভিনেতা আব্দুল কাদের। তাকে বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷ রাখা হয়েছে আইসিউতে।

Advertisement

বিখ্যাত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের বদি খ্যাত এ অভিনেতার অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। তবে আগের চেয়ে শারীরিক অবস্থা একটু ভালো বলে জানিয়েছেন আব্দুল কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি। আজ তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এদিকে কাল সন্ধ্যা থেকেই অভিনেতা আব্দুল কাদেরের মৃত্যু গুঝব ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর সত্যতা যাচাই করতে গণমাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে জেমির সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে বেশ বিব্রত ও বিরক্ত তিনি। জেমি বলেন, ‘এটা খুবই হতাশার বিষয় যে কেউ নিশ্চিত না হয়েই ফেসবুকে বাবার মৃত্যুর খবর ছড়াচ্ছেন। গতকাল (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত আমার কাছে কল এসেছে।

খুবই বাজে অভিজ্ঞতা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমার মেয়ে এইসব খবর শুনে ভেঙ্গে পড়েছে। সে শিশু। দাদার অতি আদরের নাতনি। দাদার মৃত্যুর খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দয়া করে গুজব ছড়াবেন না। বাবার জন্য দোয়া করবেন।

Advertisement

চিকিৎসকরা বলছেন, তার শরীরের অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো আছে। যদি খারাপ কিছু ঘটে তবে গণমাধ্যমে আমরাই জানাবো। এর আগে অনুরোধ রইলো মনগড়া তথ্যে ফেসবুকে বা কোথাও কিছু রটাবেন না। সবার বোধোদয় হোক।’

দাদার মৃত্যুর গুজবে বিরক্ত আব্দুল কাদেরের নাতনি লুবাবাও। সে জাগো নিউজকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় কান্নাভেজা কণ্ঠে সবার কাছে দাদার জন্য দোয়া চেয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে। সেখানে লুবাবা বলে, ‘আমি লুবাবা। আপনারা কেন আমার দাদাকে নিয়ে ফেক নিউজ বানাচ্ছেন। উনি তো আমাদের মাঝে এখনো বেঁচে আছেন। উনাকে নিয়ে ফেক নিউজ বানালে আমার কষ্ট লাগে। উনি তো আমার জানের দাদা। আমার কি কষ্ট লাগে না? ফেক নিউজ না বানিয়ে দোয়া করেন।’

ভিডিওতে লুবাবা আরও বলেছে, ‘আমার দাদার জন্য সবাই দোয়া করবা। দাদা যেন সবার মাঝে ফিরে আসে। আমার দাদা যেন ভালো হয়ে যায়’।

প্রসঙ্গত, অভিনেতা আব্দুল কাদেরের ক্যান্সার ফোর স্টেজে রয়েছে। এ বিষয়ে জেমি বলেন, ‘বাবার ব্যাকপেইন ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা দেশের বড় বড় হাসপাতালগুলোয় গিয়েছি। বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও কেউ বাবার ব্যাক পেইনের কারণ উদঘাটন করতে পারলেন না। সর্বশেষ পুরো শরীর সিটি স্ক্যান করে জানা যায় বাবার টিউমার হয়েছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘এরপর আমরা ভেতরে ভেতরে বাবাকে নিয়ে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। সেখানে গিয়ে চেকআপ করা হলে জানতে পারি বাবার ক্যান্সার। শুধু তা-ই নয়, সেটা পুরো শরীরে ছড়িয়ে গেছে।’

এলএ/জেআইএম