জাতীয়

নেপালে রফতানির জন্য ৫০ হাজার টন সার কেনার অনুমোদন

নেপালে রফতানির জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির (কাফকো) কাছ থেকে ১০৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮১২ টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনতে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনকে (বিসিআইসি) অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

Advertisement

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সভায় অনুমোদনের জন্য ৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের ২টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৪৩৮ কোটি ৯৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪৯ টাকা। এর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কুমিল্লায় পুলিশের আবাসন প্রকল্প প্রস্তাবটি ফেরত দেওয়া হয়েছে। কারণ প্রকল্পটির মেয়াদ রয়েছে মাত্র ৪ থেকে ৫ মাস। তাই এ বৈঠকে চারটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭২ কোটি ৫১ লাখ ৫৩ হাজার ১০৭ টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নেপাল সরকারকে ফেরতযোগ্য ঋণ সহায়তা দিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কাফকো থেকে ৫০ হাজার টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮১২ টাকা।

Advertisement

বাংলাদেশ সার আমদানি করে চাহিদা মিটিয়ে থাকে নেপালে রফতানির সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাফকো থেকে সার নিয়ে নেপালকে সার দিচ্ছি। এটা আমাদের প্রথম ট্রেড আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ করে নেপালের সঙ্গে এটা আমরা করলাম। আমার মনে হয় এতে করে আমাদের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে আরো ভালো হবে। আমদানি করে রফতানি করা যায়। সিঙ্গাপুরও আমদানি করে রফতানি করে। আমরাও সেটা করলাম।’

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২৫৭ দশমিক ৩৭ ডলার প্রতি টন ৪০ হাজার টন বাল্ক, বাকি ১০ হাজার টন ব্যাগড ২৬২ দশমিক ৩৭ ডলার মূল্যে এ সার দেয়া হচ্ছে। এটি লোন হিসেবে ধরা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ঢাকা ওয়াসার ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প (ফেজ-৩)’ প্রকল্পের কমপোনেন্ট-২ বাস্তবায়নে ডেনমার্কের র‌্যামবোল, বাংলাদেশের বেস্ট কনসালটিং সার্ভিস, ইন্সটিটিউট অফ ওয়াটার মডেলিং এবং দেভ কনসালটেশনকে যৌথভাবে ১০২ কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৫ টাকায় ডিজাইন অ্যান্ড সুপারভাইজার অন কনসালটেন্ট হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমোদন দেয়া হয়।

আইএইচআর/এসএস/এমএস

Advertisement