ধর্ম

আবারও বিদেশিদের জন্য ওমরাহ স্থগিত!

মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ ৮ মাস ওমরাহ বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর পুনরায় তা চালু হয়। ১ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে বিদেশিদের ওমরার সুযোগ দেয় দেশটি। মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাব পুনরায় নতুন আকারে শুরু হওয়ায় বিদেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে সৌদি। সে হিসেবে বিদেশিদের জন্য ওমরাহ কার্যক্রমও এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত।

Advertisement

গত ১ নভেম্বর থেকে বহির্বিশ্বের জন্য ওমরাহ চালু হলেও এখনো অনুমোদনই পায়নি বাংলাদেশ। সে হিসেবে বাংলাদেশীদের জন্য ওমরাহ সুযোগ কার্যত আবারও বন্ধ হয়ে গেল। অথচ বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ ওমরাহ পালনের জন্য মুখিয়ে। অনেকেই ওমরাহ পালনের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। মুসল্লিদের প্রশ্ন-‘কবে নাগাদ বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ হজযাত্রী পাঠানো শুরু হবে? জনপ্রতি ব্যয় কত হতে পারে?’

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, কবে নাগাদ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আবার ওমরাহ পালনে যেতে পারবেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই সংশ্লিষ্ট কারও কাছেই।

এ প্রশ্নের সমাধান হওয়ার আগেই করোনার নতুন ধরন ও প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে আবারও সাময়িকভাবে এক সপ্তাহরে জন্য বিদেশিদের জন্য বিমান চলাচল ও পবিত্র ওমরা পালন স্থগিত করেছে দেশটি। এ স্থগিতাদেশ পরবর্তী সপ্তাহেও গড়াতে পারে।

Advertisement

গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেয় যে, ‘যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে নতুন করে কোভিড-১৯ এর প্রাদূর্ভাব দেখা যাওয়ায়, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য ওমরা পালন স্থগিত ঘোষণা করা হলো।’

জানা যায়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ওমরা যাত্রীদের বহনকারী ফ্লাইটও স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে টানা প্রায় ৮ মাস বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর থেকে সীমিত পরিসরে শর্তসাপেক্ষে ওমরাহ হজ কার্যক্রম শুরু করে সৌদি সরকার। প্রথম পর্যায়ে শুধু সৌদিতে অবস্থানরতদের জন্য ও দ্বিতীয় দফায় বিশ্বের স্বল্পসংখ্যক দেশ থেকে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। তবে বিদেশি যাত্রীদের জন্য ওমরাহ ভিসা উন্মুক্ত করলেও এ সুবিধা পায়নি বাংলাদেশ।

সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও তাদের প্রতিবেদন বিশ্লেষণের পর তা পরবর্তী সপ্তাহেও বাড়ানো হতে পারে।

Advertisement

তবে বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানরত অন্য দেশের কোনো ফ্লাইট থাকলে তা সৌদি আরব ত্যাগ করতে পারবে বলে জানিয়েছে দেশটির জেনারেল অথরিটি ফর সিভিল অ্যাভিয়েশন (জিএসিএ)।

এমএমএস/এমএস