সিলেট বিভাগের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৭২ ঘণ্টার পরিহবন (সব ধরনের) ধর্মঘটের কারণে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জ থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। পণ্যবাহী ট্রাকের পাশপাশি চলাচল করেনি কোনো লোকাল বাসও।
Advertisement
তবে গত মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসির দু-তিনটি বাস চলাচল করলেও শ্রমিকরা আরও কঠোর হলে তাও আজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ।
সুনামগঞ্জের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানান, ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে সিলেট থেকে। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার এই পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ওইদিন শুধু ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস চলেনি। অন্যান্য যানবাহন চলাচল করেছে। কিন্তু আজ সকাল থেকে শ্রমিকরা আরও কঠোর হওয়ায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কসহ লোকাল কোনো বাসও চলাচল করেনি।
বিশ্বম্ভপুর উপজেলা থেকে আসা আরস আলী জাগো নিউজকে বলেন, সকালে এসেছি সিলেট যাওয়ার জন্য। এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। হঠাৎ করে ঘোষণা ছাড়া সুনামগঞ্জে বাস চলাচল বন্ধ করায় খুব ভোগান্তিতে পড়েছি। তাহিরপুর উপজেলার মানিক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গতকালও সুনামগঞ্জ থেকে বিআরটিসি বাস ছেড়ে গেছে তারা ধর্মঘট মানেনি। কিন্তু আজ তারাও বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। তাদের স্বার্থে আঘাত পড়লে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়, আর তার খেশারত হিসেবে আমাদের সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
Advertisement
বাদাঘাট থেকে আসা রুস্তম মিয়া বলেন, পাথর কোয়ারির সঙ্গে বাসের সম্পর্ক কী? পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার জন্য তারা ধর্মঘট পালন করছে নিশ্চয়ই এখানে একটি স্বার্থ মহল জড়িত আছে। সরকারের কাছে দাবি জানাই এটার একটা সুষ্ঠু বিহিত করা হোক আর আমাদের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেয়া হোক।
এ বষিয়ে পরিবহন ব্যবসায়ীরা বলেন, যেহেতু সিলেটে ধর্মঘট চলছে তাই আমরা সুনামগঞ্জ থেকে যদি বাস ছাড়ি তাহলে সিলেটে সমস্যা হতে পারে। সেখানে বাসগুলো আটকানো হবে। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকে যাত্রী থাকলেও সুনামগঞ্জ থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। আজ লোকালসহ সব বাসই বন্ধ রয়েছে।
সুনামগঞ্জ বাস, মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, সিলেট বিভাগজুড়ে ধর্মঘট হলেও গত মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে আমাদের যাত্রীবাহী বাস চলাচল করেছে। বুধবার কোনো বাসই ছাড়া হয়নি।
লিপসন আহমেদ/এসজে/এমএস
Advertisement