করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৩৫৯ জনে। এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৬৭জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ লাখ ৪ হাজার ৮৬৮ জনে।
Advertisement
বুধবার ( ২৩ডিসেম্বর ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৩টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৮৯৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৯৩২টি নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪২৬টিতে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৪১৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৫ জন।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৮ দশমিক শূন্য ৫৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক শূন্য এক শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত ৮মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৭ হাজার ৩৫৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৬০৭ জন (৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ৭৫২ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৮১ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ঘন্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৮ জন রয়েছেন।
বিভাগীয় হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে- ঢাকায় ১৬ জন, চট্টগ্রামে ৯ জন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় একজন, বরিশালে একজন এবং রংপুর বিভাগের দুইজন রয়েছেন।
Advertisement
এমইউ/এসএস/এমএস