জাতীয়

‘ইউরোপফেরত যাত্রীদের ৭ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন’

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘করোনা এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে আমরা চাই না দেশে কেউ করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত হোক, এজন্য পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Advertisement

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ‘জিন এক্সপার্ট মেশিন ও মোবাইল ল্যাবরেটরি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা আছে, তবে নতুন নতুন ল্যাব উদ্বোধনের মাধ্যমে এ সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পেলো।’

তিনি বলেন, এর আগে ইউরোপ থেকে আসা যাত্রীদের তিন দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হতো। এসময়ের মধ্যে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হতো। ইউরোপে করোনার নতুন ধরন দেখা দেয়ায় আমরা তিন দিনের পরিবর্তে ইউরোপ ফেরত যাত্রীদের সাত দিন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখবো।’

Advertisement

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে এখন সুস্থতার হার ৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের ঘরে ওঠানামা করছে, একই অবস্থানে আছে মৃত্যু হার। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা সবাই মিলে করোনা জয় করতে চাই।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপ, আমেরিকা, ইন্ডিয়ায় যেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেখানে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই দেশে শান্তি রয়েছে, শৃঙ্খলার মধ্যে আমরা জীবন যাপন করছি। করোনা জয় করতে পেরেছি বলেই দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে, রপ্তানির বড় খাত পোশাক খাত চালু আছে, জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখনও লকডাউনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। অক্সিজেন সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই, তবে আমাদের একটা অক্সিজেন কারখানা বন্ধ থাকায় ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি অব্যাহত রেখেছি। পুনরায় কারখানা চালু না হওয়া পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, আর্মি কোয়ারেন্টাইন ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফ, হজ ক্যাম্প কোয়ারেন্টাইন ইনচার্জ মেজর মোস্তফা, ডি এম আর ল্যাব প্রধান ফয়জুর রহমান প্রমুখ।

Advertisement

ইএআর/ইএ/এমকেএইচ