শিক্ষা

স্কুলে জমা দিতে হবে পুরনো পাঠ্যবই

করোনা পরিস্থিতির কারণে ৯ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কবে খুলবে তা অনিশ্চিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হওয়ায় চলতি বছরের সিলেবাস অসমাপ্ত রেখেই পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হয়েছে শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

এ কারণে পুরনো বই পড়ানো হবে শিক্ষার্থীদের। আগের বছরের কিছু বিষয় নতুন সিলেবাসে যুক্ত করা হবে। তাই নতুন পাঠ্যবই নেয়ার সময় আগের বছরের পুরনো বই বিদ্যালয়ে জমা রাখা হবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, লাগাতার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ২০২০ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস শেষ না করেই পরবর্তী ক্লাসে অটোপাস দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ না হওয়ায় আগামী বছরের সিলেবাসের সঙ্গে তা রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগের বছরের শিখনফল অর্জনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে সেই আদলে সিলেবাস তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নতুন বছরের তিন থেকে চার মাস আলাদাভাবে বা নতুন বছরের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে পুরনো বইয়ের কিছু অধ্যায় যুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ না করে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হলেও আগের সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় পড়ানো হবে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আগের বছরের বাদ পড়া বিষয়ে যুক্ত করে আগামী বছরের নতুন সিলেবাস তৈরি করতে এনসিটিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ কারণে সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের নতুন বছরের বই নেয়ার সময় পুরনো বই জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মাঠ কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দিবেন।’

অন্যদিকে, আগের বছরের শিখনফল অর্জন করাতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেবাসেও আগের বছরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধ্যায় যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘নতুন বছরের নতুন বই নেয়ার আগে আগের বছরের পুরনো বই জমা রাখা হবে। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিতে মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’

আগামী ৩১ ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরের পাঠ্যবইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। এ জন্য শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বই মোড়ক উন্মোচনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এরপর পাঠ্যবই বিতরণের ঘোষণা হলে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নতুন বই সংগ্রহ করতে হবে।

Advertisement

এমএইচএম/ইএ/এমকেএইচ