দেশজুড়ে

নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হবে। তাকে জেলা পুলিশ লাইন্স থেকে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালতে হাজির কথা রয়েছে। তবে নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার পরিকল্পনা ও অর্থের লেনদেনের ব্যাপারে নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও বাদী পক্ষের আইনজীবী।   নূর হোসেনকে আদালতে তোলা হবে এ ব্যাপারে আদালতপাড়ায় সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জের জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, পুলিশ এর আগে বলেছিল নূর হোসেনের জন্য তারা অপেক্ষা করছে। নূর হোসেন দেশে ফিরলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করবে। কিন্তু পুলিশ নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। মামলার বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করেছিলেন। কিন্তু আদালত তার নারাজি খারিজ করে দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবে। তিনি আরো বলেন, নূর হোসেন আলোচিত সাত খুনের পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা। আমি মনে করি নূর হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে হলেও তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাহলে আলোচিত ৭ খুনের রহস্য উন্মোচিত হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এমন অনেক মামলার নজির রয়েছে যেগুলো আদালতে সাক্ষ্য শুরু হওয়ার পরেও পুন:তদন্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেই এমন নজির রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা মামলার ক্ষেত্রেই আদালতে সাক্ষী শুরু হওয়ার পর মামলাটি আবারো পুন:তদন্তের দিকে গেছে।নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন বলেছেন, আলোচিত ৭ খুনের দুটি মামলাতেই গ্রেফতারকৃত ২১ আসামিই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৪ জন সাক্ষী স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ৭ খুনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদনটি একটি ওয়েল কমপাইলড তদন্ত প্রতিবেদন। এর মধ্যে একজন বাদী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার দায়েরকৃত মামলাটি বর্তমানে বিচারিক আদালতে রয়েছে। অপর একজন বাদী আদালতে নারাজি প্রদান করেছিলেন। কিন্তু সেটা জুডিশিয়াল কোর্টে খারিজের পর সেশন কোর্টেও খারিজ করা হয়েছে। এটা ইনডিকেট করে ৭ খুনের তদন্ত সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ ও নির্ভুল। যদি কেউ বলেও থাকে সেটাও সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কোয়ালিটি সম্পন্ন। এটা কেউ ভুল বলতে পারেনি। পুলিশ সুপার আরো জানান, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা ঝুলন্ত রয়েছে। যার মধ্যে ১১টি মামলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও ২টি ফতুল্লা মডেল থানায়। ১০টি জিআর মামলা, ২টি সিআর মামলা ও একটি কনভিকশন হয়েছে। ওই ১৩টি মামলাতেই নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। ওই ১৩টি মামলাতেই নূর হোসেনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হবে। নূর হোসেনকে রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, যেহেতু নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলাতেই আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে সেহেতু তাকে রিমান্ড চাওয়ার সুযোগ নেই।  মো.শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/পিআর

Advertisement