সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের ভালো কথার স্টক ফুরিয়ে গেছে। আমরা যত ভালো কথা বলেছি সে তুলনায় ভালো কাজ করছি না। এদেশের মানুষ ভালো কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। তাই শুধু ভালো কথা না বলে আমাদের বেশি করে ভালো কাজ করতে হবে। এখন থেকে ভাষণ কম, অ্যাকশন বেশি।শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন পূনর্মিলনী-২০১৫ উপলক্ষে এ ‘সাধারণ সভা ও গুণীজন সম্মাননার আয়োজন করে। এসময় সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিবীদদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে লাগাম ছাড়া জিহ্বা। তারা কথাবার্তা বলার সময় সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এছাড়া আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি, সেন্সলেস পলিটিক্স। এই দুটো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমরা বড় ধরণের দূর্যোগপূর্ণ অবস্থার দিকে ধাবিত হবো।রাজনৈতিক বিভক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মতো আমরা নিজস্ব অর্থায়নে একটি সেতু তৈরি করছি। কিন্তু আমাদের নিজেদের মধ্যকার যে সেতু দরকার তা আমরা তৈরি করতে পারিনি। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ দিয়ে যারা রাজনীতিকে বিষাক্ত করছেন তাদেরকে দমন করতে হবে।’এসময় নিজেকে সার্বজনীন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যদিও আমি দলের মনোনীত মন্ত্রী তারপরও আমি মনে করি, আমি কোন দলের মন্ত্রী নই, আামি দেশের মন্ত্রী। যিনি মন্ত্রী হবেন, তিনি কোন এলাকার মন্ত্রী নন, তিনি দেশের মন্ত্রী, জনগণের মন্ত্রী।’তিনি আরো বলেন, আমাদের এক অভিন্ন গৌরব হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, অভিন্ন শত্রু হচ্ছে দারিদ্রতা আর অভিন্ন বিপদ হচ্ছে ধর্মীয় গোঁড়ামি।অনুষ্ঠানে চারজন সাবেক শিক্ষার্থীকে গুণীজন সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, অ্যাম্বাসেডর হুমায়ুন কবির, সোহেল আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক মো. মোহাব্বত খান এবং সৈয়দ মমতাজ শিরীন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রেজাউল কবির, মিজানুর রহমান, এম এ বারী প্রমুখ। এমএইচ/এআরএস/পিআর
Advertisement