মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে রেখে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নতুন মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের এই মুদ্রানীতিতে ব্যাংকে অলস পড়ে থাকা টাকার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং কর্মসংস্থানের বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে।এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, গতানুগতিক ধারায় এবারও মুদ্রানীতিকে সংকোচনশীল বা সম্প্রসারণমুখী কোনটাই বলা হবে না। বেসরকারি ও উৎপাদনশীল খাতে ঋণ প্রবাহ গতিশীল করার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল নেয়া হয়েছে। মূলত মুদ্রানীতির ভঙ্গি হবে অনেকটা ভারসাম্যমূলক।তিনি জানান, ইতিমধ্যে মুদ্রানীতির সবকিছু প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে চলতি অর্থবছরের বাজেটের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই নীতি ঘোষণা করা হচ্ছে। বাজেটে বিনিয়োগ বাড়ানোর নানামুখী যে সব প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে অর্থ প্রবাহের মাধ্যমে এগুলো উৎসাহিত করা হবে।তিনি জানান, মূদ্রানীতি ঘোষণার দিন এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে যেকোনো দিন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতে পারে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, গভর্নর ড. আতিউর রহমান নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের কার্যনির্বাহী প্যানেলের বৈঠকে অংশ নেয়ায় মুদ্রানীতি ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।নতুন মুদ্রানীতিতে বাজারে ঋণের চাহিদা বাড়াতে ঋণের সুদহার কমানোর পদক্ষেপ থাকবে। এর ধারাবাহিকতায় কমবে আমানতের সুদহার। ঋণের চাহিদা সৃষ্টিতে এসএমইর মতো আরো কিছু খাতকে এবার বেছে নেয়া হবে। যেগুলো হবে ফোকাস পয়েন্ট। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে বিনিময় হারের প্রণোদনা দেয়া হবে। সূত্র: বাসস
Advertisement