প্রবাস

মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে অস্ট্রেলিয়া আ.লীগের ভার্চুয়াল সভা

বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে এ ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

সভার শুরুতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও পচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিহত তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং নির্যাতিতা- আত্মদানকারী চার লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হয়।

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. খায়রুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, কেবলমাত্র একটি ভূখণ্ড এবং পতাকার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। ভৌগলিক স্বাধীনতার পাশাপাশি বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অনেক মূল্য দিয়ে এই স্বাধীনতাকে পেয়েছি।

Advertisement

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক-অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে দেশ এখন অনেক এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এবারে মুজিব বর্ষ এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তির প্রাক্কালে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে বিজয় দিবস এসেছে। এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হেনে ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠী স্বাধীনতার চেতনার ওপরই আঘাত হেনেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকেই এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, এই বিজয়ের মাসেই আমার বড় ভাইকে পাক হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে হত্যা করে। ভাইয়ের মরদেহটিও খুঁজে পাইনি।

ভার্চুয়াল সভায় অন্য বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্নই দেখান না, তিনি যা বলেন তা বাস্তবে করেও দেখান। এ কারণেই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ এক উন্নয়ন বিস্ময়ের নাম। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ।

Advertisement

তারা আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার দু:সাহস দেখান, তাদের জন্য মহৌষধ হলো অবিলম্বে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা। তালিকা প্রকাশ পেলে এইসব পাকি প্রেতাত্মাদের স্বরূপ প্রকাশিত হয়ে যাবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন- নাসিম সামাদ, এমদাদ হক, শফিকুল আলম, দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. লুৎফর রহমান রূপন, সুইডেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরহাদ আলী খান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান খান, ফয়সাল মতিন, অনুপ কুমার মণ্ডল, শেখ মশিউর রহমান হৃদয়, ডেভিড বালা, মোহাম্মদ মুনির হোসেন, আইভি রহমান, ওসমান গনি, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম, আলী আশরাফ হিমেল প্রমুখ।

এসজে/জেআইএম