দেশের অভিবাসন খাতে করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর অভিবাসন কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৭ লাখ ৭২ হাজার কর্মী বিদেশ গিয়েছিলেন। অথচ চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশ গেছেন মাত্র ২ লাখ ৭০ হাজার কর্মী। শতাংশের হিসেবে যা গেল বছরের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ কম।
Advertisement
অন্যদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় চলতি বছর ১০ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও তা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের উদ্যোগে ‘সেইফ মাইগ্রেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল রিএনটিগ্রেশন ইন দ্যা কনটেক্সট অব কোভিড-১৯ ক্রাইসিস’ শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ের অংশীজনদের নিয়ে পরামর্শক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বিএমইটি’র পরিচালক মোহাম্মদ শামছুল আলম জানান, করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার কর্মী বিদেশে যেতেন। তবে মাঝে ছয়মাস তা একেবারে বন্ধ ছিল। বর্তমানে গড়ে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ কর্মী যাচ্ছেন।
Advertisement
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের কর্মী পাঠানোর টার্গেট পূরণ না হলেও নতুন নতুন বেশ কয়েকটি দেশে শ্রমবাজার তৈরি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে বিদেশেকর্মী পাঠানোর সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
এমইউ/এএএইচ/এমএস
Advertisement