ভারত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শনিবার এক কোটি ছাড়িয়েছে। এক মাস আগেও যা ভাবা হচ্ছিল, সংক্রমণের গতি ধীর হওয়ায় তার চেয়ে বেশ দেরিতে এই সংখ্যা স্পর্শ করলো। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
গত সেপ্টেম্বরে ভারতে দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৯৮ হাজার। এটিই ছিল দেশটিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সর্বোচ্চ পর্যায়। তবে ধীরে ধীরে সংক্রমণের হার কমতে থাকে। ডিসেম্বরে দৈনিক গড় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই সর্বোচ্চ আক্রান্তের অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে সংক্রমণের গতি এখন ধীর হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের দূরত্ব ক্রমে বাড়ছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ১৫২ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৩৪৭ জনের। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেষ ১০ লাখ সংক্রমণ হয়েছে এক মাসে। মহামারি শুরু হওয়ার পর এটি ছিল দ্বিতীয় ধীর সংক্রমণের মাস।
ভারতয়ে শীঘ্রই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি ভ্যাকসিন যথা- অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার ও ভারতে তৈরি ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
Advertisement
তবে সংক্রমণের গতি ধীর হওয়ার কারণ হিসেবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ভারতীয় হয়তো ইতোমধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে আক্রান্ত হওয়ায় শরীরে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ভারতের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের রাজ্য মহারাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘এটির একটি বড় অংশে আছে হার্ড ইমিউনিটি…যা সংক্রমণ রোধে আমাদের সাহায্য করছে।’
রাজধানী দিল্লি শনিবার জানিয়েছে, সেখানে করোনার তৃতীয় ও সবচেয়ে খারাপ ঢেউ শেষ হয়েছে। শুক্রবার সেখানে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের।
ভারত সরকারের নিয়োজিত একটি প্যানেল একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছে যেখানে দেখানো হচ্ছে, ভারতের ১৩৫ কোটি জনগণের মধ্যে ৬০ শতাংশ ইতোমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
Advertisement
এমকে/এমকেএইচ