শুরুতে না জমলেও রাউন্ড রবিন লিগের ফিরতি পর্ব থেকেই মাঠের ক্রিকেট ছিল জমজমাট ও আকর্ষণীয়। এ পর্বেই হয়েছে তিন-তিনটি সেঞ্চুরি।
Advertisement
যার প্রথমটি করেছেন রাজশাহীর তরুণ অধিনায়ক কাম ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। একই ম্যাচে দল জেতানো শতক উপহার দিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের অপরিহার্য্য সদস্য পারভেজ হোসেন ইমন।
আর বরিশালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে দারুণ সেঞ্চুরি করেও অল্পের জন্য দল জেতাতে পারেননি আরেক তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ। এছাড়া ইয়াসির রাব্বি, আফিফ হোসেন ধ্রুবও নিয়মিত ভাল খেলে রান করেছেন।
জাতীয় দলের প্রতিষ্ঠিত পারফরমার লিটন দাসের ব্যাট নিয়মিত কথা বলছে। হাতে গোনা দু’ একটি ম্যাচ ছাড়া প্রায় সব খেলায় স্বচ্ছন্দে খেলে ৩৯৩ রান করে টপ স্কোরার লিটন।
Advertisement
টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী হয়েছেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ওপেনার লিটন দাস। চট্টগ্রামের সৌম্য সরকারও মোটামুটি ফর্মেই আছেন। তার ব্যাটও কথা বলেছে।
অন্যদিকে বোলারদের মধ্যে বাঁ-হাতি পেসার মোস্তাফিজ দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ২২ উইকেট নিয়ে প্রতিযোগিতার সর্বাধিক উইকেটশিকারী কাটার মাস্টার। পাশাপাশি চট্টগ্রামের আরেক পেসার শরিফুলও প্রচন্ড গতি সঞ্চারের পাশাপাশি সমীহ জাগানো বোলিং করে সবার নজর কেড়েছেন।
এছাড়া সিনিয়রদের মধ্যে জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম এবং পেসার রুবেল হোসেনও ধারাবাহিকভাবে ভাল বোলিং করেছেন।
সব মিলিয়ে স্থানীয় ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়ে নিজেদের মেলে ধরেছেন। যা অনেকেরই প্রশংসা পেয়েছে। খোদ বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনও সন্তুষ্ট । আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে প্রধান অতিথি হয়ে এসে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে পাপন সিনিয়র ও তরুণদের প্রশংসা করেছেন।
Advertisement
বিসিবি বিগ বসের অনুভব, এ আসর দেশের ক্রিকেট, বিশেষ করে জাতীয় দলের জন্য খুবই ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। জাতীয় দলের পাইপলাইন অবশ্যই সমৃদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, ‘আমার তো কয়েকটা ছেলের খেলা খুব ভাল লেগেছে। আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লেগেছে, জাতীয় দলের অনেক প্লেয়ারের খেলা। উদাহরণস্বরূপ, মোস্তাফিজের বল আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। রুবেল হোসেন ভাল বল করেছে। যদি ব্যাটিং দেখেন- লিটন দাস, সৌম্য ভাল খেলেছে। রিয়াদ আজকেও অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। শান্ত অসাধারণ! আমার মনে হচ্ছে ওর আত্মবিশ্বাসের লেভেল দিনকে দিন বাড়ছে এবং ভবিষ্যতেরর জন্য আমাদের একটা খুব ভাল প্লেয়ার সংযোজন হয়েছে। আফিফের খেলা ভাল লেগেছে। নতুনদের মধ্যে শরিফুলের বল খুব ভাল লেগেছে। তাসকিন আবার ফেরত এসেছে। ওর বল ভাল লেগেছে। ইমন ছেলেটার ব্যাটিং ভাল লেগেছে। ইয়াসির রাব্বির ব্যাটিং ভাল লেগেছে। আসলে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে একটি ভাল কম্বিনেশন আমরা দেখেছি। এখন আমাদের অনেক অপশন আছে। এমনকি আপনি যদি মেহেদির কথা বলেন, ওর খেলাও বেশ ভাল, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে। টি-টোয়েন্টির জন্য মূল্যবান একজন খেলোয়াড়। আমি বলছি বেশ কিছু প্লেয়ার পেয়েছি যারা আমাদের পাইপলাইন শক্তিশালী করেছে।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম