প্রবাস

‘ভ্যাকসিনে অনাগ্রহ বেশিরভাগ স্লোভেনিয়ানের’

সম্প্রতি স্লোভেনিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভ্যালিকনে’র এক জরিপে বলা হয়েছে, অর্ধেকেরও বেশি স্লোভেনীয় করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নন। ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনাস্থা এবং একই সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে করোনার টিকা গ্রহণে তারা অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে।

Advertisement

এলিজাবেথা কোরেন একজন স্লোভেনিয়ান শিক্ষার্থী যিনি ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিবোর থেকে জৈব রসায়নের ওপর পিএইচডি সম্পন্ন করছেন। জাগো নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া অথবা অন্যান্য কোনো অণুজীবের বিরুদ্ধে কার্যকরি ভ্যাকসিন তৈরি করতে দীর্ঘ গবেষণার প্রয়োজন হয়।’

এলিজাবেথা আরও জানান, কয়েক দশকের গবেষণার পরও বিজ্ঞানীরা ম্যালেরিয়া, এইচআইভি এইডস কিংবা ইবোলার মতো ভাইরাস অথবা প্রোটোজোয়ার বিরুদ্ধে মানব শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে এমন ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে সমর্থ হননি। এমনকি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুততম আবিষ্কৃত ভ্যাসকিনটির নাম হচ্ছে মাম্পসের ভ্যাকসিন এবং এ ভ্যাকসিন তৈরি করতেও বিজ্ঞানীদের ন্যূনতম চার বছরের গবেষণার প্রয়োজন হয়েছে।

‘কাজেই সম্পূর্ণরূপে নতুন আবিষ্কার হওয়া একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে অল্প কয়েকমাসে কার্যকরি ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হবে এটা অনেকটা অবিশ্বাস্য।’ ভ্যাসকিনের গোটা বিষয়কে তিনি বিশ্ব রাজনীতির অংশ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

Advertisement

এদিকে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে স্লোভেনিয়ায় টিকা কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী টমাজ গান্টনার। সোমবার এক সংসদীয় অধিবেশনে তিনি জানান, প্রথম ধাপে তার সরকার ৫০০০০ থেকে ৬০০০০ মানুষকে টিকাদান প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে।

তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি থেকে অনুমতি পেলেই চলতি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে স্লোভেনিয়ায় ফাইজার ও বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের প্রথম ৫০০০ ডোজ স্লোভেনিয়াতে এসে পৌঁছাবে। প্রথম দিকে মূলত বয়োবৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে এ টিকা বিতরণ করা হবে এবং স্লোভেনিয়ার সরকার বিনামূল্যে টিকা সরবারহ করার কথা ভাবছে।

টিকাদান প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দেশটির সরকার ১০.৫ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

গত চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে স্লোভেনিয়ায় নতুন করে ১ হাজার ৬৪২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়ালো। জনসংখ্যা বিচারে বর্তমানে দেশটিতে প্রতি বিশ জনের মধ্যে একজন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত।

Advertisement

এমআরএম/জেআইএম