আজ ১৮ ডিসেম্বর ‘সুপ্রিম কোর্ট দিবস’। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের উচ্চ আদালত। দিনটি সরকারি ছুটি থাকায় আদালতের প্রথম কার্যক্রম বসে ১৮ ডিসেম্বর। উচ্চ আদালত প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পর ২০১৭ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় প্রতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
Advertisement
এরপর থেকে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালিত হয়ে আসছে।
করোনা মহামারির কারণে এবার অত্যন্ত সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন করা হবে। ১০ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, আইনজীবী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
অনুষ্ঠানটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হবে।
১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ছিল সরকারি ছুটি। কিন্তু তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওই দিন ছুটি প্রত্যাহার করে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ‘দৈনিক কার্য তালিকা’ (কজ লিস্ট) প্রণয়ন করেন এবং ওই তারিখ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়। তাই সেই দিনটিকে সুপ্রিম কোর্ট দিবস ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন আগেই জানিয়েছিল, করোনা সংক্রমণ রোধে এবার সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হবে। এ উপলক্ষে আজ বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, আইনজীবী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভা হবে।
২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার সভাপতিত্বে উভয় বিভাগের বিচারপতিদের ফুল কোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী যেহেতু ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রথম কার্যক্রম শুরু করেছিল, সেহেতু প্রতিবছর ওই দিনটিকে বাংলাদেশ ‘সুপ্রিম কোর্ট দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। সেই থেকে ১৮ ডিসেম্বর ‘সুপ্রিম কোর্ট দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্টের কর্মসূচি :দিবসটি পালন উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ আলোচনা সভা হবে। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাণী প্রচার করা হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ ছাড়াও বক্তব্য দেবেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে 'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট' স্মারকগ্রন্থের ডিজিটাল সংস্করণ উন্মোচনের পাশাপাশি একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।
এফএইচ/ইএ/এমএস