মাশরাফির মত এক ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে কোয়ালিফায়ার-১ এ ফাইনাল নির্ধারনী ম্যাচের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে দল জেতানো বোলিং করতে পারেননি।
Advertisement
প্রতিপক্ষের দুই ওপেনার লিটন-সৌম্য আর মিডল অর্ডারে মোসাদ্দেক ও শামসুর রহমান শুভ’র মত প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দল জেতানো বহুদুরে, এক ম্যাচে ৩ উইকেটেরও পতনও ঘটাতে পারেননি সাকিব।
সেরা বোলিং ৩০ রানে ২ উইকেট (৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের বিপক্ষে)। ৯ ম্যাচে একবারের জন্য তিরিশের ঘরেও যেতে পারেননি। কোয়ালিফায়ার-১ এ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২৮ রানই সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে ৯ ম্যাচে নামের পাশে মাত্র ৬ উইকেট আর সাকুল্যে ১২৫ রান।
যা সাকিবের নামের পাশে নেহায়েতই কম। তার মত বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টের মানে কিছুই নয়। এক কথায় রীতিমত অনুজ্জ্বল ও নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব।
Advertisement
কম রান করা ও কম উইকেট পাওয়াই শেষ কথা নয়। একটি ম্যাচেও দলের সাফল্যে তেমন কোন ভূমিকা রাখভতে পারেননি সাকিব। তার মত বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৯ ম্যাচে একবারের জন্যও দল জেতানো ভূমিকা রাখতে পারেননি।
সাকিবের শরীরি ভাষা ও ব্যাটিং-বোলিং পারফরমেন্স পরিষ্কার বলে দিয়েছে এক বছর খেলার বাইরে থেকে তার মাঠে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফরম করতে আরও সময় প্রয়োজন।
এদিকে দল ফাইনালে যাওয়ার পরদিন মধ্য রাতে শ্বশুরের অসুস্থ্যতার খবর শুনে যুক্তরাষ্ট্র চলে গেছেন সাকিব। যদিও যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছানোর আগেই শ্বশুরের মৃত্যু সংবাদ শুনেছেন তিনি। যে কারণে শুক্রবারের ফাইনালে জেমকন খুলনা সাকিবকে পাচ্ছে না।
যতই অফফর্মে থাকুন না কেন, সাকিব বলে কথা। জেমকন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঠিকই সাকিবকে মিস করছেন এবং ফাইনালের তার মত বিশ্বমানের পারফরমারের অনুপস্থিতির কথাও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে রিয়াদের।
Advertisement
তার অনুভব, চট্টগ্রামের বিপক্ষে ফাইনালে ঠিক সাকিবের অভাববোধ হবে। তাই তো মুখে এমন কথা রিয়াদের, ‘আমরা সবাই সাকিবের সামর্থ্য সম্পর্কে জানি। সাকিব থাকলে অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় ইতিবাচক দিক হিসেবে কাজ করতো।’
তবে খুলনা অধিনায়ক মনে করেন, সাকিবের এই না থাকাটা বাকিদের ভাল খেলার বড় তাগিদ হিসেবে কাজ করবে। আমরা সবাই সাকিবের ক্যাপাবলিটি সম্পর্কে জানি। তারপরও যেহেতু সাকিব নেই এটা আমাদের সকলের জন্য একটা দায়িত্ব এবং সুযোগ ভালো পারফর্ম করার।’
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম