আন্তর্জাতিক

প্রথমবারের মতো ব্রিটেনে শিশুদের খাদ্য সরবরাহ করবে ইউনিসেফ

জাতিসংঘের শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ ব্রিটেনের হতদরিদ্র শিশুদের জন্য জরুরিভিত্তিতে খাদ্য সরবরাহের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যেসব শিশু মারাত্মক খাদ্য সংকটে পড়েছে তাদের জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি।

Advertisement

ব্রিটিশ শিশুদের জন্য ইউনিসফের পক্ষ থেকে এর আগে এ ধরনের কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। ৭০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে এই ঘটনা এবারই প্রথম।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ব্রিটেনের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ব্রিটেনের প্রায় সাত লাখ শিশুকে খাদ্য সরবরাহের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বরাদ্দকৃত অর্থের একটি অংশ ব্রিটেনের চ্যারিটি স্কুলগুলোকে দেওয়া হবে যাতে তারা দরিদ্র শিশুদের সকালের নাস্তার ব্যবস্থা করতে পারে।

গত এপ্রিলে ইউগভ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে, ব্রিটেনে প্রথম লকডাউন দেয়ার পর ৩০ লাখ শিশু খাদ্য সংকটে পড়েছে। এছাড়া ২৪ লাখ মানুষ বাড়িতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। গত অক্টোবরে একই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত আরেকটি জরিপে দেখা গেছে নয় লাখ শিশু স্কুল থেকে বিনামূল্যে খাদ্য পাওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে।

Advertisement

স্কুল ফুড ম্যাটার্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী স্টিফানি স্লেটার বলেন, সময় মতো এই তহবিল সরবরাহ করার জন্য আমরা ইউনিসেফের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। গ্রীষ্মকালীন সময়ের জন্য সকালের নাস্তার বক্স সরবরাহের প্রোগ্রামের প্রতিক্রিয়া আমাদের দেখিয়েছে যে, পরিবারগুলো সত্যিই লড়াই করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সকালের নাস্তা সরবরাহের ফলে পরিবারগুলো এ বিষয়ে আশ্বস্ত হবে যে, একটি স্বাস্থ্যকর, পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার দিয়েই তাদের সন্তানদের দিন খুব দুর্দান্তভাবেই শুরু হবে।

এদিকে, লেবার পার্টির ডেপুটি নেতা অ্যাঙ্গেলা রেইনার বলেন, আমাদের দেশের ক্ষুধার্ত শিশুদের ইউনিসেফ থেকে খাদ্য সরবরাহের বিষয়টি আমাদের জন্য হতাশার এবং এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং চ্যান্সেলর রিশি সুনাকের লজ্জিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌আমরা বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশগুলোর একটি। আমাদের শিশুদের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করা উচিত নয় যা যুদ্ধপ্রবণ অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হয়।

Advertisement

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ১৩ হাজার ২৭৭। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৫ হাজার ৫২০ জন। দেশটিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১ হাজার ৩২৬ জন।

টিটিএন/জেআইএম