কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। করোনায় আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে আসার কারণে বর্তমানে তিনি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পম্পেওর দেহে এখনও করোনা নেগেটিভই আছে। তবুও স্বাস্থ্য সতর্কতার জন্য তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
Advertisement
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও করোনায় আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে এসেছেন। ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় জানানো হয়নি বলে ওই কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, মাইক পম্পেওর দেহে করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তার করোনা নেগেটিভ ধরা পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসনের (সিডিসি) গাইডলাইন অনুসারে তিনি এখন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। একটি মেডিক্যাল টিম তাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
পম্পেও কিভাবে এবং কখন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি পররাষ্ট্র দফতর। এছাড়া তার দেহে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা দিয়েছে কীনা সে বিষয়টিও এখনও নিশ্চিত নয়।
Advertisement
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বুধবার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডাকা মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তিনি অংশ নেননি। কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনে বিদেশি মিশনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও পরবর্তীতে তা বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটি সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড গড়েছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে একদিনেই নতুন করে আরও ৩ হাজার ৭শ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে আরও আড়াই লাখের বেশি মানুষ।
নতুন করে আরও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ২৯১। স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের বেশি সময় ধরেই দেশটিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া বর্তমানে আরও প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
বিশ্বের বাকি দেশগুলোর তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ও মৃত্যু অনেক বেশি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লাখ ৯২ হাজার ৬১৮। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৭ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৫ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৩০৬। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ২৮ হাজার ৩২৫ জন।
Advertisement
তবে এর মধ্যেও আশার কথা হচ্ছে দেশটিতে ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার এবং তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিনের ২৯ লাখ ডোজ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম