সাজেদুর আবেদীন শান্ত
Advertisement
হলুদের চাদরে ঢেকে আছে ফসলের মাঠ। চারিদিকে শুধু হলুদ আর হলুদ। দেখে মনে হবে প্রকৃতি তার সব হলুদ রঙ ঢেলে দিয়েছে। বলছি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাইগুনীর কাঁকড়াগাড়ি বিল ও তেকানী বিল সরিষা খেতের কথা।
যেখানে গেলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে হলুদ সরিষার দোল খাওয়া। সেই সাথে ও পাখির কিচিরমিচির গুঞ্জন।
প্রতিবছর এই সময় এই এলাকায় প্রায় তিনশ বিঘার ও বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়। তাতেই যেনো মনে হয় পুরো মাঠ হলুদের রাজ্য। আর হলুদের রাজ্যে এপাশ থেকে ওপাশ রাজত্ব করে মৌমাছি।
Advertisement
এক ফুল থেকে আরেক ফুলে করে মধু আহরণ। অন্যদিকে আশানুরূপ ফলন দেখে আনন্দে মুখে হাসি ফুটে উঠেছে এসব কৃষকদের। সবুজের ডগায় হলুদ ফুলে কৃষক বোনে তার স্বপ্ন।
তেমনি এক সরিষা চাষির সাথে কথা হয় জাগো নিউজের। তিনি বলেন, প্রতি বছর সরিষার খেত দেখে আমাদের মন ভরে যায়। বিঘাকে পাঁচ-ছয় মণ করে সরিষা হতো।
তবে আগের বছরের তুলনায় এবার শীত ও কুয়াশা বেশি হওয়ার কারণে মনে শঙ্কা। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে সরিষার ফুল ঝরে যাচ্ছে। তবুও আশা করছি ভালো ফলন হবে।
এক পর্যটকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হলুদে বিস্তৃর্ণ ভূমি কাঁকড়াগাড়ী বিল এলাকা। এখানে আসতে সবারই ভালো লাগে। হলুদ সরিষায় সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। যেকোনো পর্যটক আসলে তাদের অনেক ভালো লাগবে এই জায়গায়।
Advertisement
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জাগো নিউজকে জানায়, সম্পূরক রবি শস্য হিসেবে এ এলাকার কৃষকেরা সরিষা চাষ করে থাকে। পাশাপাশি সরকারিভাবে কৃষকদের সরিষা বীজ প্রদান করা হয়েছে।
চাষকৃত সরিষার সব জমিতেই শতভাগ ফুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থীরা যেনো সরিষার ফলনে ব্যাঘাত না ঘটায় পর্যটকদের কাছে এইটাই আবেদন স্থানীয় কৃষকদের।
এমএমএফ/জেআইএম