সুসম্পর্কের বিষয়ে বাংলাদেশকে সবসময় প্রাধান্য দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। আর অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ভারতকে পাশে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
এসময় করোনা মোকাবিলায় ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় দুই দেশ এক সাথে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই বৈঠকে যুক্ত হয়েছেন। আর নরেন্দ্র মোদি তার দপ্তর থেকে যুক্ত হয়েছেন বৈঠকে।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতে ডাকবিভাগে স্ট্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া দীর্ঘ ৫৫ বছর পর হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
Advertisement
এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষিসহ সাতটি খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সাত মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সচিব বা শীর্ষ কর্মকর্তা আর ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এসব স্মারকে সই করেন।
দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- নয়াদিল্লি জাদুঘরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সহযোগিতা, হাইড্রোকার্বনে সহযোগিতার বিষয়ে রূপরেখা, কৃষি খাতে সহযোগিতা, হাতির সুরক্ষায় অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু, বাংলাদেশ-ভারত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফোরামের ট্রাম্প অব রেফারেন্স এবং বরিশালে সুয়ারেজ প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা।
ইএ/এমকেএইচ
Advertisement