আইন-আদালত

দুই মামলায় জামিন, সাংবাদিক কাজলের মুক্তিতে বাধা নেই

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারিবাগ থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায়ও তিনি জামিন পেয়েছেন। এতে তার মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বাকী দুটি মামলার শুনানির জন্য আজ ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এই দুটি মামলায়ও আজ আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।

আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাজধানী শেরেবাংলা নগর থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপর মামলায় সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম কাজল হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন।’

Advertisement

ওই মামলার তার জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষে সেদিন হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে জামিন দিয়েছিলেন সাংবাদিক কাজলকে। পাশাপাশি এর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার অপর দুই মামলায় জামিন প্রশ্নের রুল শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট।

এরই ধারাবাহিকতায় দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘এই দুই মামলাসহ তার বিরুদ্ধে থাকা তিন মামলায়ই জামিন পেলেন। তাই সফিকুল ইসলাম কাজলের মুক্তিতে এখন আর আইনগত কোনো বাধা নেই।’

গত ১১ মার্চ ঢাকার চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন সফিকুল ইসলাম কাজল। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্তের একটি মাঠ সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।

পরদিন ৩ মে অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই থেকে সাংবাদিক কাজল কারাগারে আছেন।

Advertisement

এর আগে কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ১০ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর। একই আইনে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আরও দুটি মামলা করেন। পৃথক মামলায় গত ৩ মে থেকে কারাগারের আছেন সাংবাদিক কাজল। তিন মামলায় জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন কাজল। যার পরিপ্রেক্ষিতে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট কাজলের জামিন প্রশ্নে রুল দেন। রুলের শুনানি শেষে তিনি ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান।

কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার মামলায় এর আগে ৩ নভেম্বর হাইকোর্ট কাজলের জামিন প্রশ্নে রুল দিয়েছিলেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/ইএ/এমকেএইচ